রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই আলোচনায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কয়েকবারের সংসদ সদস্য ও সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করা একপ্রকার অসম্ভবই।

ক্ষমতার পালাবদলে ক্রীড়াঙ্গনে অস্থিরতার মধ্যেই বিসিবির একজন পরিচালক সম্প্রতি জানিয়েছেন, সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিতে রাজি আছেন পাপন। এ প্রসঙ্গে বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আজ (রোববার) সচিবলায়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপনের পদত্যাগ সম্পর্কে আসিফ বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি বা পরিচালকদের পদত্যাগের বিষয় আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। আমি এই ব্যাপারে সরাসরি কিছু পাইনি। এই বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে। সাবেক ক্রিকেটারদের এই বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বলেছি।’

বর্তমানে বিসিবির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের দাবি করে আসছেন সাবেক ক্রিকেটার, কোচ এবং ক্রীড়া সংগঠকরা। এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আলোচনা চলমান আছে। সমাধানে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত মন্তব্য করতে চাই না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জানতে পারবেন।’

এদিকে, বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দোলাচল কাটছেই না। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়া আইসিসির সময় শেষ হচ্ছে ২০ আগস্ট। এ বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য ভালো মাইলফলক হবে। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকালীন সময় পার করছে, আবার একইসঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এখন এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার।’

বিষয়টি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকার কথা জানিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) স্যার আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’

এসএইচ/এফআই