ভারতীয় ক্রিকেট পাড়ায় কোটি টাকার প্রশ্ন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ২০২৫ আইপিএল খেলবেন কি না। চেন্নাই অধিনায়ক নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ না খুললেও আলোচনা থেমে নেই। কদিন আগে শোনা গিয়েছিল, চেন্নাই কর্তৃপক্ষে সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন ধোনি। আসন্ন আইপিএলে ধোনি খেলবেন কি না, সেটি অবশ্য নির্ভর করছে তার দল এবং টুর্নামেন্টের কিছু নিয়মে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে, সেসবের ওপর।

আইপিএল নিলামের আগে ধোনিকে আনক্যাপড ক্রিকেটার তালিকায় রাখা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও আনক্যাপড ক্রিকেটার হচ্ছেন তারা, যারা দেশের জার্সিতে এখনও খেলেননি অর্থাৎ ক্যাপ পাননি। তাহলে  ধোনি দীর্ঘদিন ভারতের হয়ে খেলার পরে তাকে কীভাবে এই ক্যাটাগরিতে ফেলা যেতে পারে? এসব প্রশ্ন উঠছিল।

এর মাঝেই ধোনির ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে বিসিসিআইয়ের কাছে এই দাবি রাখা হয়েছিল। তার পেছনে তারা যুক্তিও সাজিয়েছিল। সিএসকে সমর্থকদের জন্য সুখবর হলো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড হয়ত সিএসকের দাবি মেনে নিতে পারে। ২০২৫ সালের নিলামের আগেই ধোনিকে প্লেয়ার্স রেগুলেশন অনুযায়ী আনক্যাপড ক্রিকেটারের ক্যাটাগরিতে ফেলা হতে পারে।

বিসিসিআই তাদের নিয়মের বাইরে গিয়ে অবশ্য কিছু করছে না। ২০০৮ সালের প্রথম আইপিএল শুরুর সময় থেকে যে নিয়ম ছিল তা মেনেই তারা এই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে। সেই নিয়ম যা বলছে তাতে একজন ক্রিকেটার ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর তিনি যদি অবসর নেন। তাহলে তার অবসর নেওয়ার পর পাঁচ বছর কেটে গেলে তাকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

আর তা যদি হয় তাহলে সিএসকের জন্যই বরং লাভ হবে। কারণ ভারত এবং চেন্নাইয়ের হয়ে দীর্ঘদিন অধিনায়কত্ব করা ধোনিকে নিতে খুব বেশি খরচ করতে হবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। ২০২২ সালে সিএসকে ধোনিকে ১২ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছিল। এবার তিনি আনক্যাপড ক্রিকেটারের তালিকায় থাকলে তাকে ধরে রাখতে সিএসকেকে খরচ করতে হবে মাত্র ৪ কোটি টাকা।

বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে চেন্নাইয়ের সিইও কাশি বিশ্বনাথান জানিয়েছেন, 'আমার এই বিষয়টাই কোনো ধারণাই নেই। আমরা কিন্তু এই বিষয়ে কোনো ধরনের অনুরোধ বিসিসিআইকে করিনি। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তারা নিজেরাই আমাদেরকে বলেছে যে তারা এই নিয়মটা রেখে দিতে চায়। যদিও তারা এই বিষয়ে জানিয়েছে যে এটা তারা করতে পারে। এখনও তাদের তরফে এই বিষয়ে অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি। কারণ এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কারণ নিয়ম নীতি এই সবকিছুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই।'

এফআই