পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সাবেকদের প্রশ্ন তোলার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও দলের ব্যর্থতার পর এ নিয়ে বর্তমান ক্রিকেটারদের ওপর তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল। সবশেষ বিশ্বকাপও ব্যতিক্রম ছিল না, যেখানে বাবর আজমের দল গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এবার তাদের সামনে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মাঠে নামার আগমুহূর্তে ফের বাবরদের ফিটনেসের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ওয়াসিম আকরাম।

পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ফিটনেসের দিকে মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বেশ কয়েকবছর ধরে পাকিস্তান এই সমস্যায় ভুগছে উল্লেখ করে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে খুব একটা কথা বলিনি এবং আমার কাছে তাদের অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্যও নেই। তবে আমি দুই বছর ধরে জানি যে, ক্রিকেটাররা তাদের ফিটনেস ধরে রাখায় যথেষ্ট মনোযোগী নয়।’

চলতি বছরে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ক্রিকেটারদের ফিটনেসে ঘাটতি ছিল বলে মনে করেন আকরাম। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় পুরো বিশ্ব দেখেছে তাদের ফিটনেস কতটা ভালো, সত্যিকার অর্থে পুরো দলের এই অবস্থা।’

নিজেদের সময়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনকার মতো তথ্য কিংবা নীতিমালা সহজে পাওয়া যেত না বলেও কিছুটা আক্ষেপ ঝরেছে আকরামের মুখে। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্টে ৯১৬ উইকেট শিকার করা এই গতিতারকা বলেন, ‘যদি আমি এই সময়ে ক্রিকেট খেলতাম, আমার ফিটনেস নিয়ে অনেক ধারণা থাকত, যেটা এখন সাধারণ ব্যাপার। আমাদের সময় সহজে ফিটনেসজনিত তথ্য সহজে পাওয়া যেত না। আমরা কিছুই জানতাম না, কেবল ইমরান খান ও জাভেদ মিঁয়াদাদদের মতো সিনিয়রদের অনুসরণ করতাম। তারা যা করত, আমরাও ঠিক সেগুলোই করতাম।’

প্রসঙ্গত, আগামী ২১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে। যা আইসিসির ২০২৩-২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অংশ। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকতে দুই দলের জন্যই সিরিজে পাওয়া পয়েন্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে নামবে বাবর-নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এরপর ৩০ আগস্ট থেকে করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

এএইচএস