২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফটোসেশনে অধিনায়করা

দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর কথা রয়েছে বাংলাদেশে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও ফলস্বরূপ নতুন সরকার আগমনের পর নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে দাঁড়াতে শুরু করলেও, আলোচনা চলছে বিশ্বকাপ চলাকালে যেকোনো ঝুঁকি বিবেচনায় ভিন্ন দেশে আয়োজনের। এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) কিছুটা সময় নিচ্ছে।

আগেই খবর বেরিয়েছিল চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পরিবর্তে বিকল্প ভেন্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। গতকাল বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সেই বিষয়টা আরও নিশ্চিত হয় বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ’র মন্তব্যে। তিনি জানান, আইসিসি এরইমাঝে বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে রাজি নন তিনি। 

এবার ভারতীয় ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ আরেক প্রতিবেদনে বিকল্প আয়োজক হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে মেগা টুর্নামেন্টটি সরে গেলে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে হবে মেয়েদের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সর্বোচ্চ আসর। আইসিসি চাচ্ছে দুবাই/আবুধাবিতে বিশ্বকাপ আসর সরিয়ে নিতে, তবে এজন্য বিসিবির পক্ষ থেকে কয়েকদিন সময় চাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসিবির এক কর্মকর্তা গতকাল (বৃহস্পতিবার) আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও পাঁচদিন সময় চেয়েছে। সেই সময় বাড়ানো মানে ২০ আগস্টের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। সেদিনই বোর্ড মিটিং রয়েছে আইসিসির। এর আগে আইসিসি ১৫ আগস্টের মধ্যে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেছিল।

এর আগে জানা গিয়েছিল, আইসিসি এমন কোনো দেশকে আয়োজক হিসেবে চায়, যাদের টাইম জোন বাংলাদেশের সঙ্গে মিল আছে এবং আবহাওয়া থাকবে খেলার উপযোগী। সেই বিবেচনায় প্রথমেই আরব আমিরাতের নাম আসে। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে রয়েছে বিশ্বমানের অবকাঠামো। তারা নিজেরাও এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজনে বেশ আগ্রহী। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলংকাও বিশ্বকাপ আয়োজনে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আর ৫০ দিন বাকি, সে হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জটিলতার অবসান চায় আইসিসি।

প্রসঙ্গত, ১০ দলের অংশগ্রহণে আগামী ৩-২০ অক্টোবর পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ১৮ দিনের এই টুর্নামেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দুটি ভেন্যু। মিরপুর শের-ই বাংলা ও সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো।

এএইচএস