ব্যাট হাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছেন বছরের পর বছর। তবুও অজানা কারণে জাতীয় দলে ঠাঁই হচ্ছিল না ভারতীয় ব্যাটার সরফরাজ খানের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ডাক পাওয়ার পর হার্শা ভোগলে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ভারতীয় নির্বাচকদের দরজা ভেঙেই দলে এসেছেন সরফরাজ।

অবশ্য দলে ডাক পেলেও একাদশে সুযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও দুটা টেস্ট। সিরিজের তৃতীয় তথা রাজকোট টেস্টে ভারতের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগটা আসে সরফরাজের।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে তিন অর্ধশতকে ২০০ রান করেছিলেন সরফরাজ। তবুও আসন্ন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম একাদশে সরফরাজের জায়গা পাওয়া নিশ্চিত নয়। তরুণ এই ক্রিকেটার নিজেও আশা দেখছেন না। শুধু প্রথম একাদশই নয়, ভারতীয় দলেও তার জায়গা পাওয়া অনিশ্চিত। কারণ একটাই, এই সিরিজে ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের প্রায় সবারই খেলার কথা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম একাদশে থাকবেন সরফরাজ? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরফরাজ বলেন, ‘আমি কোনও আশা রাখছি না। যদি সুযোগ আসে, আমি তৈরি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এটাই তো আমার কাজ। এত বছর ধরে তো সেটাই করে আসছি। নিজেকে পাল্টানোর কোনো কারণ দেখছি না।’

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৮টি ম্যাচে ৪১১২ রান করেছেন সরফরাজ। ১৪টি শতরান আছে তার। গড় ৬৮.৫৩। স্ট্রাইক রেট ৭০.৮৭। তার পরেও ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে সময় লেগেছিল সরফরাজের। এক সময় তা নিয়ে ক্ষোভও জানাতেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করে নির্বাচকদের কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এখন যদিও সরফরাজ মনে করেন, দেরিতে জায়গা পাওয়া তার জন্য একদিক থেকে ভালো হয়েছে।

সরফরাজ বলেন, ‘অনেকে ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভারতীয় দলে জায়গা পেয়ে যায়। কাউকে অপেক্ষা করতে হয়। আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা এক দিক থেকে ভাল হয়েছে। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরেছি। সেটা আমাকে ব্যাটার হিসাবে উন্নতি করতে সাহায্য করেছে। অভিষেক ম্যাচে প্রথম তিনটে বল খেলার সময় চাপ লাগছিল। তার পর নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছিলাম। আমার মাথা খুব শান্ত ছিল। বিপক্ষে কে বল করছিল তা নিয়ে ভাবিনি।’

এফআই