গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন এবাদত হোসেন। এরপর থেকেই মাঠে বাইরে রয়েছেন সিলেটের এই পেসার। পায়ের হাঁটুতে অপারেশন হওয়ার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে মাঠে ফিরেছেন, রানিং অনুশীলনও চালিয়ে যাচ্ছেন। বোলিং করতেও দেখা যাচ্ছে এই পেসারকে। 

আজ (বুধবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এবাদত। জানালেন, ‘এটা সত্যি কথা অনেক কষ্টের সময় ছিল। এটা মনে করতে চাইও না এখন। ওই সময়টা এমন ছিল, সবসময় একা একা লাগতো। কারণ আমি খেলোয়াড় হিসেবে সবসময় মাঠে থাকবো, খেলবো; এক তো হচ্ছে এই কষ্ট। দ্বিতীয়ত আমি হাঁটতেই পারছি না। আমি একটু বাইরে যাবো, কারো সঙ্গে দেখা করবো কোনো সুযোগই ছিল না ওই সময়টাতে। এটা আসলে অনেক কষ্ট, সত্যি কথা এটা মনে করতে চাই না।’

বোলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে এবাদত বলেন, ‘আজকে একটু রানিং করলাম। ফিটনেসের কাজ করলাম, ব্যাটিং করেছি, তারপর বোলিং করলাম। বোলিং শুরু করেছি আমি এক দেড় মাস হলো, বোলিং ইন্টেন্সেটি আগে ৭০-৮০% ছিল, ওভাবেই আছে এখনও। ট্রেনার আমাকে একটা প্রোগ্রাম দিয়ে দিয়েছে শেষ দিকে এসে কী রকম বোলিং করা লাগে বা কী রকম ফিটনেস মেইনটেইন করা লাগে। ওইটাই ফলো করছি আপাতত। বোলিং ইন্টেসেটি ৮০% এর মতোই আছে। আশা করছি দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে যেন ফুল ইন্টেনসেটিতে বোলিং করতে পারি।’ 

ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফেরার আশা এবাদতের, ‘আমার লক্ষ্য আছে যেন ভারতের সঙ্গে খেলতে পারি। ভারতে যেহেতু দুইটা টেস্ট ম্যাচ আছে। নির্ভর করছে যে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ফেরাটা কীরকম হবে, কতটুকু ইতিবাচক হবে। যেহেতু সামনে ভারত সিরিজ আছে, চেষ্টা করছি এর আগে যদি আমি টেস্ট ফিটনেসটা পেয়ে যাই। আমার কাছে মনে হয় একটা সুযোগ আছে ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে একটা ফোর ডে ম্যাচ খেলার, ওখানে সুযোগ পেলে বিচার করতে পারবো কতটুকু ফিট টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য। ’ 

ছন্দ খুঁজে পাওয়া নিয়ে এবাদত বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক এক বছর যেহেতু খেলার বাইরে। আমার বোলিংয়ে ছন্দটা একটা ফ্যাক্টর। চেষ্টা করছি বোলিংয়ের ছন্দ খুঁজে পেতে। যে ইন্টেনসেটিতে বোলিং করছি এখন, আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে যে আমি আমার ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছি। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে, এই সময়ে আমার সেকেন্ড স্কিল যেটা আছে, ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। ফিল্ডিং সেটা নিয়েও কাজ করছি। ’

এসএইচ/এফআই