২০২০ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামী ২১ আগস্ট থেকে। প্রথম ম্যাচটি রাওয়ালপিন্ডি আর শেষটি হবে করাচিতে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে কোনো দর্শকের উপস্থিতি ছাড়াই খেলতে হবে। কারণ ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সংস্কার কাজ চলছে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট ৩০ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে ম্যাচটিতে ক্রিকেট সমর্থকদের উপস্থিতির সুযোগ না থাকার বিষয়টির ব্যাখ্যাও দিয়েছে পিসিবি। সংস্কার কাজের জন্য গ্যালারির অনেকাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। যেখানে দর্শকরা উপস্থিত হওয়ার সুযোগ থাকলেও, সেটি ঠিক নিরাপদ হবে না তাদের জন্য। একইসঙ্গে সবসময় মাঠে থেকে ক্রিকেটীয় আমেজ বৃদ্ধি ও খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় পিসিবি।

এক বিবৃতিতে পিসিবি বলছে, ‘ক্রিকেটে আমাদের নিবেদিত দর্শকদের ভূমিকার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি, তারা খেলোয়াড়দের প্রেরণা দিয়ে ম্যাচকে আরও জমিয়ে তোলেন। যাইহোক, তাদের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে বিবেচনায় দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালে আমরা স্টেডিয়াম ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচের টিকিট বিক্রির বিজ্ঞপ্তিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে টিকিট কিনেছেন তাদের টাকাও ফেরত দেওয়া হবে।’

তারা আরও বলছে, ‘দর্শকদের এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিখত, তবে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে স্টেডিয়ামে তাদের অভিজ্ঞতা আরও বাড়িয়ে তোলার কাজ চলছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫–এর জন্য আমরা যে আরও দর্শক-বান্ধব ভেন্যু প্রস্তুত করতে চাই, এই সংস্কার সেই প্রতিশ্রুতির অংশ। যা ১৯৯৬ সালের পর প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট বসতে যাচ্ছে পাকিস্তানে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই সিরিজ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ম্যাচটি হবে ২১-২৫ আগস্ট পর্যন্ত। দ্বিতীয় টেস্ট হবে করাচিতে, ৩০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ না থাকলেও, প্রথম ম্যাচে দর্শকদের উপস্থিতিতে খেলবেন দুই দেশের ক্রিকেটাররা।

এএইচএস