রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই পুরো এক মাস পার করেছিল বাংলাদেশ। ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন জুলাইয়ের উত্তাল দিনগুলোতে পরিণত হয় সরকার পতনের আন্দোলনে। ৫ই আগস্ট তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশত্যাগ করেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতার এই পালাবদলের পরেই হুমকির মুখে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন। 

বর্তমান অবস্থান চলাকালে বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। চারটি দেশ থেকেই অক্টোবরে নারী ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে সফর করার কথা। অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে চলমান এই অবস্থায় তা হবে কি না সে বিষয়ে আছে শঙ্কা। 

বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বিকল্প ভেন্যুর কথাও ভাবতে শুরু করেছে তারা। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এখনও বাংলাদেশেই বিশ্বকাপ আয়োজন করার ব্যাপারে আশাবাদী। এজন্য তিনি জাতিসংঘের সাহায্য নিতেও রাজি।

চার দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকেই আপাতত বিশ্বকাপের আয়োজনে বড় বাঁধা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর চার দেশকে রাজি করাতেই বৈশ্বিক সংস্থার কাছে যাবেন নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা। যদিও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের হাতে। এক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ডের খুব একটা হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আর তাইতো পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাহায্য চান ক্রীড়া উপদেষ্টা। 

নিজের দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনে বিশ্বকাপ নিয়েই আলাপে সময় কাটিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, ‘কিছু দেশের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। তাই আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ করবো। নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো নিয়ে কিছু ইস্যু আছে। আর আমরা এটা নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আলাপ করব। তিনি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এবং আশা করি তিনি বিষয়টি সমাধান করতে সক্ষম হবেন।’

এদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছে আইসিসি। সেটি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চিত করতে চায় বিসিবি। সে উদ্দেশেই তার কাছে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

এ নিয়ে বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’

জেএ