জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে চলতি বছর আবারো নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। একইভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসানও। ক্রিকেটে থাকাকালীন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। 

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কোণঠাসা অবস্থায় আওয়ামী লীগ। ভেঙে গিয়েছে সংসদও। আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। এবার মুখ খুললেন ক্রিকেটারদের রাজনীতি নিয়েও। আজ রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সোহান। আহ্বান করেন ক্রিকেট আর রাজনীতি একসঙ্গে না চালানোর।

সোহান বলেন, ‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।’

সোহান মনে করেন ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়দের জায়গা নয়, ‘ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিগতদের বোর্ডে না আসাই ভালো।’

এদিকে নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ক্রিকেট বোর্ডে বাজছে পালাবদলের সুর। আসিফ মাহমুদের দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই আলোচনায় ছিল বিসিবি-বাফুফেসহ ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো কীভাবে পরিবর্তন আসবে। যদিও খুব সংক্ষেপে জানালেন এসব ব্যাপারে আরও খানিক আলোচনা দরকার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য আইসিসির সঙ্গেই আগে আলাপ করতে চান নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা।  

এসএইচ/জেএ