ড. ইউনূ‌সের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। গত শুক্রবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ (রোববার) প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস করেন আসিফ। এ সময় বিসিবির কার্যক্রম কীভাবে চলবে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন।

সচিবালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক এই উপদেষ্টা। সেখানে বিসিবি কীভাবে চলবে এমন প্রশ্ন উঠলে জবাবে আসিফ বলেন, ‘আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘বর্তমানে বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’

প্রসঙ্গত, ৫ দিন পরেও খোঁজ নেই বিসিবির বর্তমান সভাপতি এবং সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। এর আগে-পরে অনেক সংসদ সদস্যই দেশ ছেড়ে গেছেন কিংবা আছেন আত্মগোপনে। নাজমুল হাসান পাপন ঠিক কোন অবস্থায় বিরূপ এই পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

এসএইচ/এএইচএস