বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী বিসিবি, নজর আইসিসির দিকে
ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে সরকারের পদত্যাগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখন আড়ালে। তাদের পাশাপাশি দেশের স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিয়েও কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেই নিশ্চয়তা পাওয়ার লক্ষ্যে এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
অন্যদিকে, আজ (শুক্রবার) বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের প্রধান হাবিবুল বাশার সমুন। তিনি বলেন, ‘(বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে) আমি এখনও আশাবাদী, দেখা যাক আইসিসি কী করে। এটা এখন আইসিসির সিদ্ধান্ত, আমাদের তো কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আইসিসি সিদ্ধান্ত নেবে তারা করবে কি করবে না। আমি এখনও আশাবাদী বিশ্বকাপটা বাংলাদেশেই হবে। সেই আশা নিয়ে আমরা বসে আছি।’
বিজ্ঞাপন
কোনো কারণে বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তন হলেও, ঠিক সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে দাবি বাশারের, ‘বিশ্বকাপ পেছানোর পরিস্থিতি নেই, পেছাবে না। বিশ্বকাপ পেছাতে পারবে না, বিশ্বকাপ যে তারিখে আছে সেই সূচিতেই হবে, পেছানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশ না হলে অন্য জায়গায় হবে। পেছানোর কোন অপশন নেই। এখন আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি আইসিসির, আমি যতটুক জানি বা বুঝি। আইসিসির একটা মনিটরিং টিম আছে, ওরা সবার সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে, ওরা ওদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। মনে হয় না ওরা খুব বেশি দেরি করবে, এই সপ্তাহেই জানিয়ে দেবে।’
আরও পড়ুন
এর আগে বিশ্বকাপ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সেনাপ্রধানের কাছে চিঠি দেওয়ার কথা জানান বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’
প্রসঙ্গত, ১০ দলের অংশগ্রহণে আগামী ৩-২০ অক্টোবর পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ১৮ দিনের এই টুর্নামেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দুটি ভেন্যু। মিরপুর শের-ই বাংলা ও সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। তবে তার আগে আইসিসি বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে ১০ আগস্টের মধ্যে একটি মূল্যায়ন জানাতে পারে বলে উল্লেখ করেছে ক্রিকবাজ।
এসএইচ/এএইচএস