দীর্ঘ ১৫ বছর পর ক্ষমতার রদবদল দেখল বাংলাদেশের জনগণ। গেল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাব শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে গেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের ২৪ ঘণ্টা পরেই বিলুপ্ত করা হয়েছে জাতীয় সংসদ। এরপরেই বিভিন্ন অঙ্গনের নেতৃত্বে পরিবর্তনের জোরালো দাবি উঠছে। সে ধারাবাহিকতায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর নামও। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্বেও পরিবর্তনের দাবি করেছেন ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। একইসঙ্গে তিনি বিসিবির বিরুদ্ধে বিধ্বংসী অভিযোগও তুলেছেন তিনি। দাবি করেছেন ক্রিকেট বোর্ডের রদবদলের। এমনকি সেই তালিকায় আছে কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের নামটাও। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার এক পোস্টে রুবেল বলেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা দেখলাম বলতেছে দেশে সুশাসন চায়। শুধুমাত্র অপছন্দের তালিকায় থাকার কারনে অসংখ্য ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়া ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার পালা বদল দেখে রং বদলানোর চেষ্টায় আছে।’

রুবেল অবশ্য এখানেই ক্ষান্ত হননি। বদল চেয়েছেন কোচের পদেও, ‘একইভাবে চান্ডিকা হাতুরুসিংহেসহ তার অবৈধ কাজে সহায়তা করে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করা ব্যক্তিদের অন্তত আর কোনো দায়িত্বে দেখতে চাই না।’ 

এর আগে ব্যাটার ইমরুল কায়েসও জানান বিসিবির সংস্করণের কথা। বিসিবি অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ এই ওপেনারের, ‘সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম বোর্ড কর্মকর্তারা মুখোশ পাল্টে এখন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এদের কারণে ক্রিকেটের যে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সবাই জানেন। কত প্লেয়ারের ক্যারিয়ার যে ধ্বংস করছে তারা। শুধু তাদের পছন্দের তালিকায় না থাকার কারণে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয় না।’

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছিলেন। জানুয়ারিতে মন্ত্রীত্ব পাওয়ার মাত্র ছয় মাসের মাথায় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন তিনিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা। ইতোমধ্যে পাপনের ভৈরবের বাড়িতে ভাংচুরও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও তার বর্তমান অবস্থানের কথা জানা যায়নি। একইভাবে বিসিবি পরিচালকদের বড় একটি অংশ এই ঘটনার পর থেকে গোপনে আছেন।

এসএইচ/জেএ