ভারতের জার্সিতে ১৮০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। যদিও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পাননি দীনেশ কার্তিক। এরপর জুনে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। কেবল তাই নয়, আইপিএলে যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দীর্ঘ সময় খেলেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাকে পরামর্শক ও ব্যাটিং কোচ পদেও নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কার্তিক।

দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ইতোমধ্যে লিগটির দল পার্ল রয়্যালসের সঙ্গে ২০২৫ মৌসুমে খেলার জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যা ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আফ্রিকান টুর্নামেন্টটিতে প্রথম। যদিও জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ায় এবং ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তি না থাকায় তার খেলায় কোনো বাধা নেই। আজ (মঙ্গলবার) সামাজিক মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয় পার্ল ফ্র্যাঞ্চাইজি।

বেঙ্গালুরুর হয়ে খেললেও, প্রোটিয়া লিগটিতে ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলবেন কার্তিক। পার্ল আইপিএলের দল রাজস্থান রয়্যালসের মালিকানাধীন দল। আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এসএ টি-টোয়েন্টি। রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট কুমার সাঙ্গাকারা কার্তিককে দলে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘দীনেশ ভারতের সীমিত ওভারের ফরম্যাটে একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় এবং তার অপরিসীম অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জন্য অনেক সাহায্য করবে।’

দলটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাবেক এই ভারতীয় তারকা বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় আমার খুব ভালো স্মৃতি আছে। আমার সামনে যখন এই সুযোগটি এসেছে, আমি না করতে পারিনি। কারণ আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পেরে রোমাঞ্চিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলা এবং পার্ল রয়্যালসের হয়ে দারুণ এই টুর্নামেন্ট জেতা বিশেষ অনুভূতি হবে।’

নিজের ৩৯তম জন্মদিনে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা দেওয়া কার্তিক আগে থেকেই ধারাভাষ্য নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমানে তিনি ইংলিশ লিগ দ্য হান্ড্রেড-এ কাজ করছেন। এরই মাঝে ক্রিকেটার হিসেবে যুক্ত হলেন প্রোটিয়া লিগে। যেখানে পার্ল রয়্যালসে সতীর্থ হিসেবে ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, আন্দিল ফেহলুকাওদের পাবেন কার্তিক। টুর্নামেন্টের সবশেষ আসরে দারুণ শুরু করে সেরা চারে নাম লেখালেও টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে এলিমিনেটর থেকে বিদায় নিয়েছিল পার্ল।

কার্তিক এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪০১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি বেঙ্গালুরু, কলকাতা নাইট রাইডার্সসহ ছয়টি আলাদা দলের হয়ে খেলেন তিনি। পুরো ১৭ মৌসুমে তিনি মাত্র দুটি ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন। বিসিসিআই শুধুমাত্র অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিদেদি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনুমতি দেয়। ফলে সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান আম্বাতি রাইডু সিপিএলের সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টস, রবিন উথাপ্পা ও ইউসুফ পাঠান দুবাইয়ের আইএল টি-টোয়েন্টি দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন। এ ছাড়া সুরেশ রায়না খেলেছেন দুবাইয়ের টি-টেন টুর্নামেন্টে।

এএইচএস