গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে গুঞ্জন উঠেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়েও। নতুন সরকারের অধীনে ভবিষ্যতে কি হবে বিসিবি বা বাফুফের।

দেশের রাজনীতির পালাবদলের এমন সময়ে আজ মঙ্গলবার সকালে বিসিবির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ক্লাব কর্মকর্তা। তাদের নিয়ে আসা সেই ব্যানারে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা লেখা ছিল। ব্যানারে তারা পরিচয় হিসেবে লিখেছেন ‘ক্রিকেট সংগঠক’। 

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া এই ক্রিকেট সংগঠকদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এতদিন বিসিবিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এসবের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া নিয়ে। সেখানে উপস্থিত হন বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু।

আরও ছিলেন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম-সম্পাদক মুশতাক হোসেন, মোহামেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন।

এরপর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সালের পর আবার বিসিবিতে এসেছি। এসেছিলাম বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তাকে পাইনি। আমাদের দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে এখানে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে আসতে হবে।’

বিসিবির সামনে অবস্থানের পর ক্রীড়া সংগঠকেরা বিসিবির সভাকক্ষে গিয়ে বসেন। সেখানে তাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমন।

এসএইচ/এফআই