একমাসের বেশি সময়ের আন্দোলনের পর অবশেষে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে সাধারণ জনতা ও ছাত্রদের সম্মিলিত বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে গিয়েছেন সদ্য সাবেক হওয়া প্রধানমন্ত্রী। তুমুল গণ-আন্দোলনের মুখে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন এবং পরবর্তীতে ঢাকাসহ পুরো দেশে অস্থির অবস্থার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ থেকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন সরিয়ে নেয়ার ভাবনা শুরু করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সংস্থাটি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকা ও সিলেটের দুই ভেন্যুতে ১০ দলের এই বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা রয়েছে। 

বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আইসিসিকে যদি বাধ্য হয়ে বিশ্বকাপের ভেন্যু পাল্টাতে হয়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের বিশ্বস্ত সুত্র ইএসপিএনক্রিকইনফো। সংক্ষিপ্ত বিকল্প দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাম।

আইসিসির এক কর্মকর্তা গতকাল জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সব রকম সম্ভাবনার দ্বার খোলা রাখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), তাদের নিরাপত্তা সংস্থা এবং আমাদের স্বাধীন নিরাপত্তা পরামর্শকদের সঙ্গে নিয়ে আইসিসি ভালোভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সব অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা এবং ভালো থাকাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

এদিকে সোমবারের ঘটনার পরপরই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী তিন দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারত নিজেদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সতর্ক করেছে। 

ক্রিকইনফোর ভাষ্য মতে, আইসিসি বিকল্প ভেন্যুর ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক দেশ নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনে সক্ষম হলেও তাতে জটিলতা রয়েছে। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক বৃষ্টির আভাস রয়েছে এবং ভারতের পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আইসিসি সর্বশেষ বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বিকল্প ভেন্যুতে নিয়ে গেছে ২০২১ সালে। সেবার কোভিড মহামারির কারণে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরিয়ে আরব আমিরাত ও ওমানে নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে নারীদের বিশ্বকাপ আয়োজন হবে কি না তা এক বড় প্রশ্ন। 

জেএ