শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় কোচ ফাহিম
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি। যেখানে প্রাণহানির প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিরাও। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। দেশের চলমান এই পরিস্থিতি অহিংস উপায়ে সমাধান করা যেত বলেও মনে করেন তিনি। একইসঙ্গে কোনো ধরনের দমন-পীড়ন কাম্য নয় বলেও জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আজ (শুক্রবার) রাস্তায় নামেন দেশের জনপ্রিয় কোচ ফাহিম। এ সময় গণমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘একটা অহিংস এবং নৈতিক একটা দাবি আমাদের সাধারণ ছাত্রদের। যেটা সহজেই সমাধান করা যেত, সেটাকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলো সেটা গ্রহণযোগ্য না। আমরা যত মৃত্যু দেখেছি যত অত্যাচার দেখেছি ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর, সেটা একটা স্বাধীন দেশে গ্রহণযোগ্য না।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমরা এজন্য দেশ স্বাধীন হইনি। সেজন্য এখানে আসা, আমি এ আন্দোলনের প্রথম থেকেই ওদের পাশে ছিলাম। আজ মাঠে এসেছি ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার মনে হয় পাশে এসে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে এবং ওদের পাশে দাঁড়ালে ওদের শক্তি বাড়বে। ওরা হয়তো আরও নিশ্চিন্তবোধ করবে।’
এমন পরিস্থিতি এড়াতে করণীয় কী হতে পারে, সেই পরামর্শও দিয়েছেন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘প্রথমে যেটা করা উচিৎ– তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনভাবে সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখছি না। আর ইমিডিয়েটলি ওদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিৎ। যাদেরকে অকারণে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং অত্যাচারও করা হচ্ছে। য আমরা কিছু কিছু ভিডিওতে দেখেছি, সেগুলো দ্রুত বন্ধ করা। আমার মনে হয় সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা ভালো সরকারের দিকে যাচ্ছে। আমরা যেন তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি, সাধারণ মানুষ তাদের ওপর ভরসা করতে পারি। এটা সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশির গুলির ঘটনাও ঘটে। এই আন্দোলন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দুইশ’র অধিক মানুষের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সরকারি হিসাবে এই সংখ্যাটি বলা হচ্ছে– দেড়শ।
এসএইচ/এএইচএস