চলতি বছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ব্যাটিংয়ে ভঙ্গুর দশা। বড় দল সামনে পড়লেই ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রতিপক্ষ বোলারদের কিছুতেই দাঁড়াতেই পারছেন না টাইগ্রেস ব্যাটাররা। গতকাল এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও একই চিত্র দেখা গেল। প্রথমে ব্যাট করে মোটে ৮০ রান করে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। যা ভারত ১১ ওভারে ১০ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায়।

এদিকে, আগামী অক্টোবরে দেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে। তার আগে নিজেদের যাচাই করে নেওয়ার বড় মঞ্চ ছিল এবারের এশিয়া কাপ। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ আরও একবার হতাশা উপহার দিলো। আবারও সেই হতাশায় জড়িয়ে আছে ভারতের নাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটে বহুবারই স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়েছে প্রতিবেশী দেশটি। এজন্য অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতার দায়ই নিলেন টাইগ্রেস কোচ ও অধিনায়ক জ্যোতি।

তবে বাংলাদেশ কোচ হাসান তিলেকারত্নে বড় দলের বিপক্ষে বেশি বেশি খেলার মাধ্যমে উন্নতির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘সামনে এগোনোর পথে আমাদের মেয়েদের এটা ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো। এরকম বড় দলের সঙ্গে খেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেরাদের বিপক্ষে খেলতে পারলে নিজেদের খেলায় উন্নতি হয়।’

অধিনায়ক জ্যোতির মতো প্রধান এই কোচও বলছেন স্কিলের কোনো সমস্যা নেই ক্রিকেটারদের, ‘পুরো ব্যাপারটি হলো বোধের। বোধ দিয়েই ম্যাচ জিততে হয়, স্কিল দিয়ে নয়। স্কিল তাদের আছে, কিন্তু খেলাটাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে ওদের। সেটির সবচেয়ে সেরা উপায় হলো, উঁচু মানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেরা দলগুলির বিপক্ষে নিয়মিত ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের।’

এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তা না পাওয়া জ্যোতির দল পরবর্তী দুই ম্যাচে মালয়েশিয়া ও থাই মেয়েদের হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। কিন্তু সেমিতে ভারতের বিপক্ষে ছিল আরও যাচ্ছেতাই। চিরচেনা সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা; জ্যোতির ৩২ এবং স্বর্ণা আক্তারের ১৯ রান বাদে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরই ছুঁতে পারেননি।

এসএইচ/এএইচএস