লিওনেল মেসিকে খুব একটা কাঁদতে দেখেননি ভক্তরা। ২০১৬ সালে চিলির কাছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লিও। এবার ৮ বছর পর সেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই আবারও চোখের পানি ঝরালেন মেসি।

চোটের জন্য কোপা আমেরিকা ফাইনালে ৬৪ মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন মেসি। মাঠ ছাড়ার পর বেঞ্চে বসে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। কেন এভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মেসি? কোপা ফাইনালের পর জানালেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।

আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক সম্ভবত এবারই শেষ কোপা খেললেন। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। দলকে ট্রফি জিততে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। স্কালোনি বলছেন, ‘সবার মতো মেসিও ট্রফি জিততে চেয়েছিল। ইতিহাসের সেরা ফুটবলার ও। গোড়ালিতে চোট পাওয়ার পরেও মাঠ ছাড়তে চায়নি। নিজের স্বার্থের জন্য নয়। ও চেয়েছিল সতীর্থদের লড়াইয়ের জন্য মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখতে। মেসির মাঠে থাকার একটা আলাদা অর্থ রয়েছে। মাঠে থাকার জন্যই ওর জন্ম হয়েছে। তা করতে না পারায় ভেঙে পড়েছিল।’

মেসির আবেগ নিয়ে তার সতীর্থ রদ্রিগো ডি পল বলছেন, ‘আমি জানি মেসি কী ভাবে। ও সব সময় আমাদের সঙ্গে মাঠে থাকতে চায়। আমাদের সাহায্য করতে চায়। সেটা পারেনি বলেই ভেঙে পড়েছিল লিও।’

কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলার ৩৭ মিনিটেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন। আক্রমণে যাওয়ার পরেই তাকে কড়া ট্যাকেল করেন কলম্বিয়ার রাইটব্যাক সান্তিয়াগো আরিয়াস। কড়া ট্যাকেলের পর সেখানেই গোড়ালি মচকায় লা পুলগার। এরপরেই ব্যাথানাশক দিয়ে সাময়িক চিকিৎসা চলে মেসির। তার অভিব্যক্তিই বলে দিয়েছিল বাজে ট্যাকেলের শিকার হয়েছেন গোললাইনের কাছে।

তবু অধিনায়ক মেসি সময় নেননি। সাইডলাইনে গেলেও খেলায়ও ফিরে আসেন খানিক পরেই। প্রথমার্ধ শেষ করেন সতর্কভাবেই। এরপরের ২৫ মিনিট বিরতির পর আবার ফেরেন মাঠে। তবে এবারের মেসি আরও বেশি সাবধানী। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে আসে দুঃস্বপ্নের ক্ষণ। লিওনেল মেসি এবার ভারসাম্য হারান মচকে যাওয়া পায়ে। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি মেসির। মাঠের চিকিৎসার পর আর্মব্যান্ড তুলে দিয়েছিলেন আনহেল ডি মারিয়ার কাছে। সাইডবেঞ্চে বসেই এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন এলএমটেন। 

এফআই