দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে শুরু হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। এরইমাঝে আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংস পর্যায়ে। ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রামে নিহত হয়েছেন ৬ আন্দোলনকারী। সহিংসতার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

ছাত্রদের এই চলমান আন্দোলনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনের স্বপক্ষে। জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তাওহীদ হৃদয় এবং শরিফুল ইসলাম ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। 

তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন আরও অনেকেই। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সরাসরি কিছু না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজের ফেসবুকে। ইংরেজিতে লেখা স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি নির্বাক ছিলাম, কিন্তু অন্ধ ছিলাম না।’ 

পেসার সুমন খান ছাত্রদের পক্ষে লিখেছেন, ‘একজন ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি যেহেতু আমি এখনো একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।’ একই সময় মক্কায় নিজের ছবি প্রকাশ করে দোয়া চেয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। 

জাতীয় দলের খেলোয়াড় মুনিম শাহরিয়ার জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের কারণে তার গাড়িতে ক্ষতি হয়েছে। এরপরেও তিনি ছাত্রদের পক্ষেই নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছেন, ‘যদিও আমার ব্যক্তিগত গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা হয়েছে আন্দোলনকারীদের দ্বারা। এর পরেও আমি শান্তি চাই। চাইনা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরুক । আমি নিজেও একজন শিক্ষার্থী। যৌক্তিক দাবি যৌক্তিক ভাবে নিরসন হোক। আমার ভাইয়েরা বোনেরা সবাই যাতে নিরাপদ থাকুক।- মুনিম শাহরিয়ার

একইরকমের সংক্ষিত পোস্টে শান্তি কামনা করে নুরুল হাসান সোহান লিখেছেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রক্ত আর দেখতে চাই না, শান্তি চাই।’ 

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম আম্পায়ার গাজী সোহেল লিখেছেন, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে। হৃদয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মনের মধ্যে স্তব্ধতা গ্রাস করেছে। এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না।’ 

জেএ