অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিজেদের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ টাইগার্স ও বাংলাদেশ এইচপি দল। যেখানে তিন সেঞ্চুরিতে রীতিমতো রানের পাহাড় গড়ে এইচপি। সেই লক্ষ্য তাড়ায় বেশি দূর এগোতে পারেনি টাইগার্স। তাতে ১৩৭ রানের জয় পেয়েছে এইচপি। তাদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আফিফ হোসেন, জিসান আলম ও আকবর আলী।

চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করে তিন সেঞ্চুরিতে ৪০৩ রান সংগ্রহ করে এইচপি। ওপেনিংয়ে নেমে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও জিসান। টাইগার্সের বোলারদের দারুণভাবে সামাল দিয়েছেন তারা। দুজনেই খেলেছেন পজিটিভ ক্রিকেট। তবে ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তানজিদ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৯ বলে খেলেছেন ৪৮ রানের ইনিংস।

তানজিদ ফিরলেও ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জিসান। এদিন বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি এ তরুণ ওপেনার। শফিকুল ইসলামের বলে তিনি যখন আউট হয়ে ফেরেন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭৮ বলে ১২৭ রান।

দুই ওপেনারের এনে দেওয়া ভিত মিডল অর্ডারে কাজে লাগিয়েছেন আফিফ ও আকবর। দুজনেই টাইগার্সের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ বলে ১০৩ রান। বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৭৪ বলে ১০২ রান করে।

বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা, শফিকুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগার্স। মাত্র ১ রান করে রুয়েল মিয়ার বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। তবে আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অপরপ্রান্তে ছিলেন বেশ সাবলীল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি টাইগার্সের কেউই। ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন নাঈম। তার আগে ৫৫ বলে খেলেছেন ৪৯ রানের ইনিংস।

সাইফ হাসান, মিরাজ, মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও নাঈম হাসান প্রত্যেকেই শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। টাইগার্স ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে। এছাড়াও ৩০ রানের করে ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির ও নাঈম।

এইচপির হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন আলিস আল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াসি সিদ্দিকী ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

এইচজেএস