প্রথম রাউন্ডে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি এবং সেমিফাইনাল জিতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স প্রথম পাঁচ ম্যাচে কেবল দুটিতে জিতে সেমিতে ওঠে। সেই পর্ব থেকে টানা দুই জয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে যুবরাজ সিংরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। প্রথম রাউন্ডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজিত ভারত এবার ফাইনালে তাদেরকেই হারাল ৫ উইকেটে।

গতকাল (শনিবার) ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোমাঞ্চকর ফাইনালে মুখোমুখি হয়। আইসিসি যেখানে দুই দলের মুখোমুখি লড়াই উপহার দিতে প্রায় প্রতিটি টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে ফেলে ভারত-পাকিস্তানকে, সেখানে লিজেন্ডস টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে নিজ যোগ্যতায়। এদিন আগে ব্যাট করে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে। যা ভারত পেরিয়েছে ৫ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক শোয়েব মালিক। এ ছাড়া কামরান আকমল ২৪, শোয়েব মাকসুদ ২১, মিসবাহ উল হক ১৮ ও সোহেল তানভীর অপরাজিত ১৯ রান করেন। ভারতের হয়ে অনুরীত সিং ৪৩ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট এবং ১টি করে উইকেট শিকার করেন বিনয় কুমার, পাওয়ান নেগি ও ইরফান পাঠান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান (৫০) আসে আম্বাতি রাইডুর ব্যাটে। এ ছাড়া গুরকিরাৎ সিং ৩৪, ইউসুফ পাঠান ৩০ ও অধিনায়ক যুবরাজ অপরাজিত ১৫ রান করেন। আর তাতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। পাকিস্তানের হয়ে আমির ইয়ামিন ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন সাঈদ আজমল, ওয়াহাব রিয়াজ ও শোয়েব মালিক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ জানিয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন ভারত (ট্রফি ও ২ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা)
রানারআপ পাকিস্তান (ট্রফি ও ১ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা)

টুর্নামেন্টের সেরা পারফরর্মার যারা

ফাইনালে সেরা ক্রিকেটার : আম্বাতি রাইড়ু (৫টি চার ও ২টি ছক্কায়৩০ বলে ৫০ রান)– ট্রফি ও ৩ হাজার মার্কিন ডলার
টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার : ইউসুফ পাঠান (৭ ম্যাচে ৩টি অর্ধশত-সহ ২২১ রান ও ১টি উইকেট)– ট্রফি ও ৫ হাজার মার্কিন ডলার
ফাইনালের সেরা ব্যাটার : ইউসুফ পাঠান (১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৬ বলে ৩০ রান)– ৫০০ মার্কিন ডলার
সুইট মোমেন্ট অফ দ্য ফাইনাল : অনুরীত সিং (৪ ওভারে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট)– ৫০০ মার্কিন ডলার
সর্বোচ্চ রান : শোয়েব মালিক (৭ ম্যাচে ২৪৫ রান, ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি)
সর্বোচ্চ উইকেট : নাথান কোল্টার নাইল, ওয়াহাব রিয়াজ, শোয়েব মালিক ও ব্রেট লি (৯টি করে উইকেট)
সর্বোচ্চ ছক্কা : ড্যান ক্রিশ্চিয়ান (৬ ম্যাচে ২০টি ছক্কা)

এএইচএস