জেমস অ্যান্ডারসন যেদিন নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন, সেদিন তার শেষ টেস্টের সতীর্থ ক্রিস ওকসের বয়স ছিল ১৪ বছর। আরেক সতীর্থ শোয়েব বশিরের জন্মই হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে শেষবার নেমেছিলেন এই পেসার। ৭০৪ উইকেট নিয়ে শেষ করেছেন নিজের এই বর্ণিল ক্যারিয়ার। এবার অবশ্য ইংল্যান্ডকে পথ চলতে হবে কিংবদন্তি এই পেসারকে ছাড়া। 

অ্যান্ডারসন পরবর্তী যুগের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী ৮ জুলাই। ট্রেন্টব্রিজের ওই টেস্ট থেকে শুরু হবে ইংলিশ ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়। দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থ স্টুয়ার্ট ব্রড এবং জিমি অ্যান্ডারসনকে ছাড়াই এবার পথ চলবে ইংলিশ পেস অ্যাটাক। অবশ্য তাদের জায়গায় আছেন পরীক্ষিত ক্রিকেটাররাই। দ্বিতীয় টেস্টে অ্যান্ডারসনের বদলে আসছেন পেসার মার্ক উড। 

মার্ক উড চলতি বছরই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের মধ্যে তিন টেস্টে মাঠে নেমেছিলেন। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাদশেও ছিলেন এই পেসার। শেষ দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পেলেও খেলেছেন ৫ ম্যাচে। আছেন গাস অ্যাটকিনসন। সারে থেকে উঠে আসা এই পেসার নিজের প্রথম ম্যাচেই করেছেন বাজিমাত। 

অ্যাটকিনসন এবং অ্যান্ডারসন ছাড়া লর্ডস টেস্টে পেসার হিসেবে ছিলেন ক্রিস ওকস। তাকে আবারও রাখা হয়েছে দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে। দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসও এখন বোলিংয়ে ফিরে এসেছেন পুরোদমে। উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ১৮ ওভার। তাতে রেকর্ডও করেছেন তিনি। তিন উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেছেন ২০০ উইকেট। 

তাতে স্যার গ্যারি সোবার্স এবং জ্যাক ক্যালিসের পর মাত্র তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬ হাজার রান এবং ২০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক। এছাড়া স্পিনের জন্য ইংলিশদের ভরসা হয়ে থাকবেন তরুণ শোয়েব বশির। 

ইংল্যান্ড স্কোয়াড 

বেন স্টোকস (অধিনায়ক), গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, হ্যারি ব্রুক, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, ড্যান লরেন্স, ডিলন পেনিংটন, অলি পোপ, ম্যাথিউ পটস, জো রুট, জেমি স্মিথ, ক্রিস ওকস, মার্ক উড। 

জেএ