২১ বছরের ক্যারিয়ার শেষে যা বললেন অ্যান্ডারসন
ইংল্যান্ডের জার্সিতে বর্ণাঢ্য এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়ে গেল। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর আজ (শুক্রবার) ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংলিশ তারকা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ (৭০৪) উইকেটের রেকর্ড। এমনকি পেসার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট এবং টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ (১৮৮) খেলার রেকর্ডও নিজের নামে করে নিয়েছেন। যাওয়ার বেলায় পেয়েছেন বর্ণাঢ্য ‘গার্ড অব অনার’।
দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ক্রিকেটকে অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন ইংল্যান্ডের এই তারকা পেসার। বিনিময়ে জেমস অ্যান্ডারসন পেয়েছেন ভক্ত ও সমর্থকদের ভালোবাসা। বিদায় বেলাতেও একই ভালোবাসা দিয়েছেন দর্শক ও সতীর্থ-প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা। ৪১ বছর বয়সী পেসারকে আজ প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা দুই দিকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ‘গার্ড অব অনার’ দেন। মাঠে উপস্থিত দর্শকরাও গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে এই কিংবদন্তিকে অভিবাদন জানিয়েছেন। দিনের শুরু কিংবা শেষে একইভাবে বিদায়ী বরণ পেয়েছেন জিমি।
বিজ্ঞাপন
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) July 12, 2024
ক্রিকেটারদের এমন অভিবাদনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অ্যান্ডারসন। লর্ডসের ড্রেসিংরুমেই নাসের হুসেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অ্যান্ডারসন, সেখানে এই বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন দুই দশকের বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা এই পেসার। একজন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার হিসেবে ভবিষ্যতে কোন বিষয়টা মিস করবেন তাও নাসেরকে সাক্ষাৎকারে জানান অ্যান্ডারসন।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের প্রশ্নের উত্তরে অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, দলের হয়ে জয় এবং সেলিব্রেশনটা তিনি মিস করবেন। বিদায়ী ইনিংসে ক্যাচ মিসের সময় গ্যালারি দারুণভাবে সমর্থন করেছে। সেই বিষয়টিতে বেশ অভিভূত কিংবদন্তি পেসার। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনও অনুশোচনা করছি, ক্যাচটি মিস করার জন্য। তবে গ্যালারিতে যে প্রতিক্রিয়া ছিল, তাতে আমি অভিভূত। যা অর্জন করেছি তাতে আমি গর্বিত।’
— England Cricket (@englandcricket) July 12, 2024
গ্যালারির দর্শকরা দাঁড়িয়ে করতালিতে বিদায়ী অভিবাদন জানান জেমস অ্যান্ডারসনকে। এই ভালোবাসা পেয়ে আনন্দাশ্রু আটকাতে পারেননি তিনি। এই বিষয়ে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমি যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা বেশ আবেগপূর্ণ এবং বিশেষ। আমি নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। আমি মনে করি সক্ষম ছিলাম, ফাস্ট বোলার হিসেবে ২০ বছরের বেশি খেলাটা বিশেষ। আমি গর্বিত এবং খুশি, নিজেকে চোটমুক্ত রাখতে পেরেছি, দীর্ঘদিন খেলেছি।’
এএইচএস