লর্ডসের গ্যালারি থেকে থেকে ভেসে আসছে করতালির কলতান, সতীর্থরাও যোগ দিলেন তাতে। যে বাইশগজে এতদিন রাজ করেছেন, বিদায়বেলায় একটু আবেগী কী হলেন অ্যান্ডারসনও! ভেজা চোখ আর সেই মাথার ক্যাপটা উঁচিয়ে ধরে যেন বলে গেলেন, মনে রেখো, আমিও ছিলাম তোমাদেরই মাঝে।

টেস্ট ইতিহাসের সফলতম এই পেসারের আন্তর্জাতিক বিদায়ের ম্যাচ বড় জয়ে রাঙাল ইংল্যান্ড। লর্ডস টেস্টে ক্যারিবীয়দের ইনিংস ও ১১৪ রানে হারাল বেন স্টোকসরা। অ্যান্ডারসনের বিদায়ী ম্যাচে অভিষিক্ত গাস অ্যাটকিনসন দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেট শিকার করেছেন।

জেমস অ্যান্ডারসন আগেই জানিয়েছিলেন, লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই ফোকাসটা তার দিকেই বেশি দর্শকদের। তবে পারফরম্যান্স দিয়ে আলাদাভাবে আলো কেড়ে নিলেন অভিষিক্ত গাস অ্যাটকিনসনও। অভিষেকেই ৪৫ রানে ৭ উইকেট শিকার করে রেকর্ড গড়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই পেসার। তার বোলিং নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১২১ রানেই থেমে গিয়েছিল। 

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৭১ রানের বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিক ইংলিশরা। দলকে বড় সংগ্রহ এনে জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথরা। পাঁচ জনই ফিফটি পেয়েছেন। তাদের ফিফটিতে ২৫০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। টপ অর্ডারের কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান। তখনই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ইংল্যান্ড। 

আজ (শুক্রবার) টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ডের অপেক্ষা ছিল আর কেবল ৪ উইকেটের। আবারও হুল ফোটালেন অ্যাটকিনসন। ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেক  ঠুকেছেন ‘ম্যাচের অন্যতম নায়ক’ এই অ্যাটকিনসনই। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট তুলে নিলেন। সেই সঙ্গে অভিষেকে বেস্ট বোলিং ফিগারের সেরা তালিকাতেও ঢুকে গেলেন এই তরুণতুর্কি। 

দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে জ্বলে উঠেছেন অ্যান্ডারসনও। তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। টেস্টে তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭০৪ উইকেট! এমন একটা সংখ্যার স্বপ্ন থাকে হয়তো বাকি সেরা পেসারদেরও!

এফআই