যেভাবে আগামী বিশ্বকাপে ভালো করার ভাবনা নান্নুর
দীর্ঘ সময় পর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠলেও, প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কারণ এই রাউন্ডে এসে নাজমুল হোসেন শান্তরা একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি। অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতাই দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি কাছাকাছি গিয়ে হারলেও, তাদের খেলার ধরন নিয়ে পড়তে হয় চরম সমালোচনার মুখে। কারণ সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ থাকলেও, তাদের মানসিকতায় ঘাটতি দেখা গেছে।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে টাইগাররা বেশ পিছিয়ে আছে, সেটা আবারও স্বীকার করলেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন তিনি। বর্তমানে বিসিবির চিফ কো অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
বিজ্ঞাপন
এ সময় নান্নু বলছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমনিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট যদি দেখেন, খেলোয়াড়রা অনেক কম সংখ্যক ম্যাচ খেলে। আবার বিপিএলের মতো ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিদেশি খেলোয়াড়রাই খেলে। সেই জায়গায় আমাদের খেলোয়াড়দের সুযোগ কিন্তু কম থাকে, এখন চিন্তা করা হচ্ছে যে লোকাল খেলোয়াড়দের জন্য টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ও ম্যাচের সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়। একটা প্লাটফর্মে আরও কিছু টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় যেন খেলতে পারে।’
আরও পড়ুন
নান্নুর দাবি– ক্রিকেটারদের নার্সিং করলে পরবর্তী বিশ্বকাপে ভালো করবে দল। তিনি বলেন, ‘এমন কিছু খেলোয়াড় বেছে নেওয়া দরকার, যাদেরকে নার্সিং করে ইন্টারন্যাশনালের জন্য রেডি করতে হবে। তার সঙ্গে এই খেলোয়াড়দেরকে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেরও অভিজ্ঞতা দিতে হবে। সব কিছু চিন্তা-ভাবনা করে একটা ফরম্যাটে ভালো দল গড়ে বিশ্বকাপের চিন্তাটা করা উচিৎ। এখন যে অবস্থায় আছে, এমন অবস্থায় হুট করে বিশ্বকাপ জয় করাটা কঠিন। একটা সময় দরকার, এই সময়ের মধ্যে দলটাকে যদি আমরা রেডি করতে পারি, তাহলে আগামী বিশ্বকাপে ভালো করার আশা করি।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলার সুযোগ কম পান বলে অভিযোগ আরও আগে থেকেই। সে কারণে বিপিএলের বাইরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও টুর্নামেন্ট চালুর দাবি উঠেছে। যা নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন ক্রিকেটার ও কোচ থেকে শুরু করে অনেকেই। শেষ পর্যন্ত বিসিবি কোন পথে হাঁটে, সেটাই দেখার বিষয়!
এসএইচ/এএইচএস