হার দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। তবে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় নেয়নি তারা। পরের ম্যাচেই রোডেশিয়ানিদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১০০ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা আনলো শুবমান গিলের দল।

রোববার (৭ জুলাই) হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তুলে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেছেন অভিষেক শর্মা। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে ১৩৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ইনোসেন্ট কাইয়া। তবে তিনে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ব্রায়ান বেনেথ। এই টপ অর্ডার ব্যাটার আক্রমনাত্মক শুরু করলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ৯ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।

এরপর ধ্বস নামে রোডেশিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপে। মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। তবে ব্যাতিক্রম ছিলেন কেবল ওয়েসলি মাদেভারে। এই ওপেনার ৩৯ বলে করেছেন ৪৩ রান। তাছাড়া ৩৩ রান এসেছে লুক জংউয়ের ব্যাট থেকে।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নতুন বল খেলতে বেশ ভুগেছে ভারত। শুরুতেই ফিরেছেন শুবমান গিল। অধিনায়ককে হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। 

ধীর গতির শুরু করা ভারত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোডেশিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকে। বিশেষ করে অভিষেক শর্মা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৩ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন অভিষেক। আর সেঞ্চুরি করেন মোট ৪৬ বলে।

নিজের ২য় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন অভিষেক। এদিন বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে দীপক হুদা নিজের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাছাড়া বয়সের হিসেবে চতুর্থ কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের হয়ে এই সংস্করণে সেঞ্চুরি করেন তিনি।

অভিষেক ১০০ করে সাজঘরে ফিরলেও রানের চাকা থামেনি। উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন রিংকু সিং। ২২ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাছাড়া ৪৭ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রুতুরাজ।

এইচজেএস