গত ২৫ জুন সকালে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন খালেদ মাসুদ পাইলটের মা। সেদিন পাইলট নিজেই তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। খালেদ মাসুদ পাইলটের মা নার্গিস আরা বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এরপর সেদিন এশার নামাজের পর রাজশাহীর টিকাগা ঈদগাহ মাঠে পাইলটের মায়ের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার মাকে নিয়ে আবারও ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পাইলট। সেখানে তিনি লিখেছেন, মায়ের নামাজে জানাজা পড়িয়েছিলেন তিনি নিজেই।

ফেসুবক স্ট্যাটাসে পাইলট লেখেন, 'আমার মা গত ২৫শে জুন আল্লাহর মেহমান হয়েছেন। শেষ সময়ে সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি আমি। আর নিজেকে তৈরি করেছিলাম কঠিন এক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। “জানাজার সালাতের ইমামতির জন্য মৃত ব্যক্তির সন্তান সবার আগে প্রাধান্য পাবেন। ইমামতির জন্য মৃত ব্যক্তির সন্তানই সবচেয়ে বড় অলি” – আলেমদের মুখ থেকে এটি জানার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলাম।'

'জানাজার সালাতের ইমামতির জন্য সব কিছু শিখে নিয়েছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মায়ের জানাজার ইমামতি আমিই করেছিলাম। নিজের হাতে কবরের বিছানায় মাকে রেখে এসেছি। সন্তান হিসেবে এসব আনুষ্ঠানিকতা অনেক কষ্টের। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে এখন অন্য রকম আত্মতৃপ্তিও আছে আমার।'

'হারিয়ে যাওয়া বাবা-মায়ের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া সন্তানের দোয়া। জীবনের বাকি সময় এভাবেই বাবা-মায়ের পাশে থাকতে চাই। “রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা।” رَّبِّ ارْحَــمْــهُـمَا كَـمَا رَبَّـيَـانِـي صَـغِـيـرًا "হে আমার প্রতিপালক! আমার পিতা-মাতার প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।'

এসএইচ/এইচজেএস