বিশ্বকাপ জয়ের পর একদফা উদযাপন সেরেই ফেলেছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। বার্বাডোজে আটকে ছিলেন হারিকেন বেরিলের তোপে। ১০৫ ঘণ্টার দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজ দেশের পথে রওনা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফসহ বাকি সবাই। কিন্তু এতগুলো দিন পরেও আলোচনার টেবিল রয়ে গেছে সূর্যকুমার যাদবের সেই ক্যাচটি। 

ফাইনালের শেষ ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মিলার উড়িয়ে মেরেছিলেন বল। লং অফ থেকে ছুটে এসে সেই ক্যাচ নিয়েছিলেন সূর্যকুমার। বল ধরে সেটাকে আবার শুন্যে ঠেলে দিয়ে বাউন্ডারি লাইন হয়ে আবার হাতে লুফেছেন সেই ক্যাচ। এখানেই শুরু দুই বিতর্কের। সূর্যকুমারের পা বাউন্ডারিতে বিজ্ঞাপনী কুশনে ঠেকেছিল কিনা তা নিয়ে যেমন আলাপ চলছে, তেমনি সেদিন বার্বাডোজে বাউন্ডারি লাইন পিছিয়ে গিয়েছিল কিনা তাও এক প্রশ্ন। 

এসবের উত্তর এখনো পুরোপুরি মেলেনি। প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে আলোচনার নতুন নতুন সূত্র। এবার তাতে যুক্ত হলো আরও একটি ভিডিও। তবে এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে ভিন্ন এক দিক থেকে। যেখানে সূর্যের ক্যাচের বদলে ধরা পড়েছে বাউন্ডারি লাইনে অধিনায়ক রোহিত শর্মার হতাশ ভাব। 

ডেভিড মিলারের হিট করা বল যখন বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল, তখনই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রোহিত শর্মা। সেটাই ধরা পড়লো ভক্তের ধারণ করা ভিডিওতে। তবে সূর্যের ক্যাচের নতুন কোনো ফুটেজ এতে আসেনি। টুইটারে অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটের ভক্তদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই ভিডিও। 

অবশ্য ২ জুলাইয়ের আরও একটি ভিডিও সম্প্রতি ভারতে বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে। এই ভিডিও অবশ্য তাদের বেশ খানিকটা স্বস্তিই দেবে। ভিডিওটি ধারণ করা হয় বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালের স্ট্যান্ড থেকে। সূর্যকুমার যেখানে ক্যাচ নিয়েছিলেন তার ঠিক ওপর থেকে। এই ভিডিওতে অবশ্য দেখা গিয়েছে, ক্যাচ নেয়ার পর থেকে বল ওপরে পাঠানো পর্যন্ত সূর্যের পা বাউন্ডারি কুশন থেকে বেশ কিছুটা খালি জায়গা ছিল। 

অবশ্য এত বিতর্কের মাঝে সূর্যকুমারের দাবি, ক্যাচটা সেদিন ঠিকঠাকই নিয়েছিলেন তিনি, ‘বলটা যখন আমি ওপরের দিকে ঠেলে দিই আর ক্যাচটা নিই, আমি জানতাম দড়িতে আমার পা লাগেনি। আমি সেই সময় কেবল ওটা নিয়েই ভাবছিলাম। আমি জানতাম, এটা পরিষ্কার একটা ক্যাচ।’  

অবশ্য সূর্যকুমারের বিশ্বাস, ছক্কা হলেও ভারতই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে ফিরত, ‘ওটার পর যেকোন কিছুই হতে পারত। যদি বলটা ছয়ই হতো, তাহলে সমীকরণ কী হতো? ৫ বলে ১০। আমরা হরত এরপরেও জিততাম, কিন্তু ব্যবধান আরও কমে আসতো।’  
 
জেএ