আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ে ডাম্বুলা সিক্সার্সের পরাজয়ে অবদান রেখেছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। আজ (বুধবার) তারচেয়ে উন্নতি করেছেন, তবে তার দুই উইকেট শিকারের দিনেও পরাজিত ডাম্বুলা। জাফনা কিংসের বিপক্ষে ১৯২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েও মুস্তাফিজ-তাওহীদ ‍হৃদয়রা জিততে পারেনি। আভিষ্কা ফার্নান্দো ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে জাফনা ৪ উইকেটে জিতেছে।

এলপিএলে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ডাম্বুলা। পাল্লেকেলেতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে হৃদয়দের দলটি মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তোলে। যদিও এই টাইগার ব্যাটার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। তবে কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে তারা বড় লক্ষ্যই গড়েছিল, কিন্তু রানের পিচে যে সেটিও যথেষ্ট নয় তাই বুঝিয়ে দিলো হৃদয়ের সাবেক দল জাফনা। গত আসরে দলটির হয়ে প্রথমবার এলপিএলে খেলতে নেমে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন হৃদয়।

ডাম্বুলার লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল জাফনা। নুয়ান থুসারা ও নিমেশ ভিমুখতির বলে বেশ সাবলীলই ছিলেন জাফনার ওপেনাররা। তবে সেই ছন্দে লাগাম টেনে দলীয় ৩০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফুল লেংথে বেশ বাইরে ফেলা বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট কুশল মেন্ডিস। এরপর আরও ৬ রানের ব্যবধানে বিধ্বংসী ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকান রাইলি রুশোও আউট হয়ে যান। ফলে বেশ চাপেই পড়ে যায় জাফনা।

এরপর যা হয়েছে তা হয়তো ভুলে যেতে চাইবে ডাম্বুলা। মোহাম্মদ নবির নেতৃত্বাধীন দলটি ব্রেকথ্রু আনার মতো যথেষ্ট ভালো বোলিং করতে পারেননি কিংবা তাদের দারুণভাবে সামলেছেন জাফনা ব্যাটাররা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১২৪ রান এনে দেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কা। মুস্তাফিজের বলে আসালাঙ্কা বিদায় নিলেও, ততক্ষণে জয়ের ভিত পেয়ে যায় জাফনা। বিদায়ের আগে এই জাফনা অধিনায়ক ৩৬ বলে ৫০ রান করেন। এ ছাড়া অল্প সময় পরই আউট হওয়া আভিষ্কা ৩৪ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় করেন ৮০ রান। শেষে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন একটি করে চার-ছক্কায় জাফনার ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন।

ডাম্বুলার হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। এ ছাড়া নুয়ান থুসারা ৩৪ রানে ২ উইকেট ও নবি ২০ রানে ১ উইকেট শিকার করেন। এ নিয়ে আসরের টানা দ্বিতীয় হার দেখল ডাম্বুলা।

এএইচএস