সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শেষে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ঢাকাতে। তবে দলের বিদেশি কোচিং স্টাফরা ফেরেননি ঢাকায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকেই গিয়েছেন নিজ নিজ দেশে। বিশ্বকাপজুড়েই ভোগান্তিতে ছিল টাইগার ব্যাটাররা। দলের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প সম্প্রতি কথা বলেছেন দলের বিশ্বকাপ যাত্রা নিয়ে। 

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থান করছেন হেম্প। সেখান থেকেই ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদক সাকিব শাওনের সঙ্গে কথা বলেছেন টাইগার এই ব্যাটিং কোচ। জানিয়েছেন দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে। তবে কোচ হেম্পের সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ, ৫ ম্যাচ জিততে না পারায়।

শুরুতে হেম্প জানালেন বিশ্বকাপ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা, ‘প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সুপার এইটে উত্তীর্ণ হয়েছে, সুতরাং এই দিক বিবেচনায় বলা যেতে পারে এটা বেশ পজিটিভ দিক। দল হিসেবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল গ্রুপপর্ব পার হওয়া, যেটা আমরা করেছি।’ 

এরপরেই অবশ্য শোনালেন আক্ষেপের কথা, ‘হতাশার দিক হলো, আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটো ম্যাচে খুব কাছে গিয়েও জিততে না পারা, যেটায় হয়ত আমরা ৫ জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারতাম।’

বিশ্বকাপজুড়ে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। রান পাননি দলের ব্যাটাররা। কোচ হিসেবে হেম্প বললেন ম্যাচ পর্যালোচনার কথা, ‘স্কিলের দিক থেকে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবদিকেই আপনি সবসময়ই উন্নতি করতে পারবেন। আমরা প্রতিটা খেলাই পর্যালোচনা করি যেন আমরা যা ভালো করেছি তা নিয়ে আলোচনা করা যায়, একইসঙ্গে ভবিষ্যতে ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে কোন জায়গায় কাজ করা যায়।’ 

 

পরে ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে হেম্প আরো বললেন, 'আমরা পুরো টুর্নামেন্টে যা দেখলাম, যুক্তরাষ্ট্র আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই জায়গাতেই পিচগুলো ব্যাটারদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। আরও কিছু বলতে গেলে বলা যায়, নতুন বলে রান তোলা সবসময়ই কিছুটা কঠিন। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারাই এমন, কম বলে রান করা সবসময়ই বাড়তি চাপ যোগ করে। একটা জায়গায় আমরা নজর রাখব, সেটা হলো ব্যাটিং কন্ডিশন বিবেচনায় আমাদের শট খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর সাধারণ বিবেচনা কেমন হবে।'

সামনেই টেস্ট সিরিজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটাররা কি রানে ফিরবেন সেখানে, হেম্পের উত্তর,  ‘টেস্ট ক্রিকেট সবসময়ই ভিন্ন একটয়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়। এখানে ধৈর্য্য আর লম্বা সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটা প্রাধান্য পায়। সাদা বইলের স্কোয়াড যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যস্ত ছিল, আমাদের লাল বলের ক্রিকেটাররা তখন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই আশা করি এই সময়টা পরের টেস্ট সিরিজে তাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।'

আগামী বছরও আইসিসি টুর্নামেন্ট রয়েছে। সেখানে কেমন সুযোগ টাইগারদের? হেম্প আশাবাদী ভালো কিছু করার। বিশ্বাস করেন পুরো দলের চেষ্টায় সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের একে অন্যকে আরও ওপরের দিকে নিতে সাহায্য করবে। যদি তারা সত্যিই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়, তবে সব বিষয়ের মতোই এক্ষেত্রেও পুরো দলের সকলের একটানা প্রচেষ্টা আর মনোসংযোগ দরকার।'

এসএইচ/জেএ