সৌরভ গাঙ্গুলি যুগে বহুবারই শিরোপার কাছাকাছি গিয়েছিল ভারত। কিন্তু বৈশ্বিক শিরোপা ধরে দেখা হয়নি তাদের। নতুন সভাপতি রজার বিনিও দেখেছেন হতাশা। তবে ২০২৪ সালে এসে দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসির কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। আর এই শিরোপা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে একটা যুগেরই শেষ হলো। 

এই ম্যাচ দিয়েই নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতি টেনেছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো সিনিয়র তিন ক্রিকেটার। একইসঙ্গে শেষ হয়েছে রাহুল দ্রাবিড় অধ্যায়। শিরোপা জেতার মাধ্যমে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে ‘দ্য ওয়াল’–এর। নতুন কোচের জন্য এরইমাঝে অবশ্য খোঁজ করা শুরু করেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। 

নতুন কোচের তালিকায় শুরুতে অনেকের নাম শোনা গেলেও এই মুহূর্তে টিকে আছে একজনের নাম। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ভারতের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা গৌতম গম্ভীরের নামটাই এখন উচ্চারিত হচ্ছে জোরেশোরে।  

এরইমাঝে গম্ভীরের কোচ হওয়ার গুঞ্জনে নতুন করে ঘি ঢাললেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি। গম্ভীরের কোচ হওয়ার গুঞ্জনে তাকে বেশ ইতিবাচকই শোনা গেল, ‘গম্ভীরের প্রচুর অভিজ্ঞতা। ও দায়িত্ব নিলে ভারতীয় ক্রিকেটের ভালই হবে। ওর অভিজ্ঞতা ভারতের প্রয়োজন। ভারতের হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট খেলেছে গম্ভীর। এমন এক জনকেই ভারতের কোচ হিসাবে প্রয়োজন।’ 

বার্বাডোজে শিরোপা জয়ের সময় পাশেই ছিলেন ১৯৮৩ সালে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা রজার বিনি। এখন তিনি আছেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে। দলের জয়ের দিনে বিদায়ী কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘দ্রাবিড় দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিল। ওর যা অভিজ্ঞতা তা দলকে নানা ভাবে সাহায্য করেছে। কোচ হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করেছে ও। যে কয়েকটি ম্যাচ হেরেছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্য। এর মধ্যে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালও ছিল।’ 

কোচ হিসেবে গম্ভীরকে নিয়োগের জল্পনা বেড়ে যায় খোদ গম্ভীরের এক বক্তব্যে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সাবেক এই ওপেনা বলেছিলেন, ‘ভারতীয় দলের কোচ হতে পারলে ভাল লাগবে। দেশের কোচ হওয়ার থেকে বড় গর্বের কিছু হয় না। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের প্রতিনিধি হওয়া যায় কোচ হলে।’ 

জেএ