জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেট ও সংগঠক শামীমা সাত্তার মিমো বেশ কয়েক মাস যাবৎ অসুস্থ। স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায় স্বাভাবিক হাটা-চলা করতে পারেন না। মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো মিমো তাই অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন। আজ সকালে অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ও অন্যতম সদস্য এমবি সাইফ বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মিমোর অসুস্থতার খোঁজ নিতে তার বাসায় যান।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা মিমো ও তার ছেলের সঙ্গে ঘন্টা খানেক আলাপ করেন। অসুস্থ থাকলেও স্মৃতিশক্তি, কথা-বার্তায় তেমন সমস্যা পরিলক্ষিত হয় না। পরিবারের দেয়া তথ্য মতে বিওএ কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবারহ কম হয়। এতে হাত-পা কাঁপায় চলাচলে সমস্যা। পারকিনসন্স ধারণা করলেও মিমোর রোগটি এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত হয়নি।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃতি অ্যাথলেট মিমোর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'তার পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর নিতে বলেছি। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এবং আমরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মিলিতভাবে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে পাশে থাকব।’ বিওএ ট্রেজারার একে সরকার আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসক নির্বাচনের সহায়তার কথা জানিয়েছেন, 'তার পরিবার চাইলে বিদেশে চিকিৎসক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের অলিম্পিক এসোসিশেয়নের চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করতে পারে। বিওএ এই ব্যাপারেও সহায়তা করবে।’ দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। খেলাধূলার বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিওএ অসুস্থ ক্রীড়াবিদ,সংগঠকের পাশে দাড়িয়ে আসছে।

শামীমা সাত্তার মিমো দেশের অন্যতম সেরা নারী অ্যাথলেট। বিশেষ করে জাম্প ইভেন্টে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। ক্রীড়াবিদ হিসেবে অসামান্য অর্জনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। ক্রীড়াবিদ হিসেবে অবসর নেয়ার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ, বিকেএসপির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবে কাজ করেছেন। কোচের পাশাপাশি সংগঠক হিসেবে অ্যাথলেটিক্স, সাইক্লিং, আরচ্যারি ফেডারেশনে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। 

অনেক খেলা ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকলে ক্রীড়াঙ্গনে তার মূল পরিচিতি অ্যাথলেটিক্সের মিমো। সাবেক এই অ্যাথলেটের পাশে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনও। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, 'আমরা সভাপতি (ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব) স্যারের মাধ্যমে মিমো আপাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছি। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন তার পাশে রয়েছে।’ সাবেক অ্যাথলেট ও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা কিছু দিন আগে মিমোকে দেখতে গিয়েছিলেন। এর কিছু দিন আগে সত্তর-আশির দশকে মহিলা ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরাও মিমোর বাসায় গিয়েছিলেন। 

এজেড/এইচজেএস