মাঠে বিরাটের কান্না, মেয়ে ভামিকার মনের কথা জানালেন আনুশকা
ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোজের কড়া রোদের নিচে আরেকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ১৩ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। হোক ভিন্ন ফরম্যাটে। তবুও ভারতের পাশে এখন বিশ্বসেরার স্বীকৃতি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের হিসেবে অপেক্ষাটা ১৭ বছর। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ম্যান ইন ব্লুরা। সেটা দিয়েই শিরোপার পথে নেমেছিল ধোনির ভারত। লম্বা অপেক্ষা শেষে আবারও সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই শিরোপাখরা ঘুচালো দলটা।
শনিবার রাতটা টানটান উত্তেজনায় কাটিয়েছে ভারতের সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত ভয় কাজ করছিল, এই বুঝি ট্রফিটা হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে মধ্যরাতের আগেই বদলে যায় হিসাব। ট্রফি জিতে আনন্দ অস্রুতে ভেসেছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা।
বিজ্ঞাপন
বরাবরই টিম ইন্ডিয়ার পাশে ঢাল হয়ে থাকেন আনুশকা শর্মা। বেশিরভাগ সময় গ্যালারিতে থেকে উৎসাহ দেন দলকে। তা সে একদিনের ম্যাচ হোক বা টি ২০ কিংবা টেস্ট। আর এরকম এক অভূতপূর্ব জয়ে বিরাটস্ত্রীর পোস্ট আসবে না, তা কী হয়।
ইনস্টাগ্রামে রোহিত ব্রিগেডের কাপ জয়ের ছবি শেয়ার করেছেন আনুশকা। শেয়ার হওয়া ছবির সিরিজে দেখা যায় রোহিত থেকে বিরাট, রাহুল হার্দিক সবার চোখে পানি। আর সেই চোখের পানি নিয়েই মেতেছেন আনন্দে। আনুশকা সেই ছবিগুলোর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার মেয়ের সবচেয়ে চিন্তা ছিল এই খেলোয়াড়দের কেউ আছে কি না, যারা তাদের জড়িয়ে ধরবে, কারণ ওঁরা কাঁদছে। হ্যাঁ সোনা… আজ ওদের আদর করেছে দেশের ১.৫ বিলিয়ন ভারতবাসী। কী দুর্ধর্ষ জয়। চ্যাম্পিয়নস… অনেক শুভেচ্ছা টিম ইন্ডিয়া।’
মনে হতে পারে, আনুশকার পোস্টে কেন আলাদা করে বিরাটের উল্লেখ নেই। আসলে রব নে বনা দি জোড়ি নায়িকা স্বামীকে নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বিরাটের কাঁধে ভারতের জাতীয় পতাকা। হাতে ট্রফি, মুখে তৃপ্তির হাসি। আনুশকা লিখেন, ‘এবং… এই মানুষটাকে ভালোবাসি আমি। যাকে ঘর বলতে গর্ব হয় আমার। যাও এবার আমার জন্য এক গ্লাস স্পার্কলং ওয়াটার খাও ও এই জয়কে উপভোগ করো।’
বিরাটকে নিয়ে আনুশকার এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ভূমি পেডনেকররা। তারা রেড হার্ট ইমোটিকন দিয়ে ভরালেন মন্তব্য বাক্স।
এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘আমরাও এই মানুষটাকে খুব ভালোবাসি।’
তবে ভারতীয়দের একটু মন খারাপ বিরাট-রোহিতের সিদ্ধান্তে। দুজনেই আর টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে টি-২০ খেলবেন না বলে ঘোষণা করেছেন।
এমএসএ