আটলান্টিকের পাড়ে এমন সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছে, যখন পাশ্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির চোখ রাঙানি প্রবল। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রতিযোগী দলগুলোর বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় এমন আবহাওয়া। যার কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে, আবার পরিত্যক্ত খেলায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দুই দল। এবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালেও একই পূর্বাভাস মিলেছে।

উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপজুড়ে প্রায় এক মাসের কর্মযজ্ঞ শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল। সেখানে চলমান সংক্ষিপ্ত সংস্করণের নবম বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটির জন্য আগে থেকেই একদিন রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি। অর্থাৎ, বৃষ্টির কারণে আগামীকাল নির্দিষ্ট ওভারের খেলা মাঠে না গড়ালে, পরদিন আবারও খেলতে নামবে দু’দল। তবে শঙ্কার বিষয় দু’দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে।

‘অ্যাকু ওয়েদার’-এর তথ্যানুযায়ী, শনিবার খেলার সময় আকাশ মেঘলা থাকবে। ম্যাচের দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৪৭ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বার্বাডোজে খেলা শুরু স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। সেই সময় পূর্ব দিক থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে হাওয়া বইবে। একইসঙ্গে তিন মিলিমিটার বৃষ্টিও হতে পারে। আর্দ্রতা থাকবে ৭৮ শতাংশ। তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমবে। বৃষ্টির সম্ভাবনাও কিছুটা কমবে। যদিও তখনও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৪১ শতাংশ। আবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬৬ শতাংশ। আর্দ্রতাও বাড়বে। যদিও ম্যাচ খুব বেশি হলে দুপুর পর্যন্ত চলবে। তাই সন্ধ্যায় বৃষ্টি হলে তার প্রভাব ম্যাচে পড়বে না।

ফাইনালে রোমাঞ্চ বাড়াতে ঘুড়ি প্রস্তুতকারীদের আয়োজন

সেদিন খেলা সম্পন্ন না হলে, বার্বাডোজেই আবার রিজার্ভ ডেতে খেলা গড়াবে। অবশ্য রিজার্ভ ডেতেও চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত যদি রিজার্ভ ডেও বৃষ্টিতে ভেসে যায়, ফাইনাল ম্যাচ সম্পন্ন না হয়, তাহলে শিরোপা নির্ধারণ কীভাবে হবে তা নিয়ে জল্পনা এসেই যায়। কারণ সেমিফাইনালেও এমন প্রসঙ্গ এসেছিল। যেখানে প্রথম সেমিতে রিজার্ভ ডে থাকলেও, দ্বিতীয়টিতে ছিল না। তখন কোনোভাবে খেলা না হলে ভারত সুপার এইটে সবম্যাচে জয়ের সাপেক্ষে ফাইনালে ওঠে যেত। যদিও তারা ইংল্যান্ডকে হারিয়েই চূড়ান্ত মঞ্চে পা রেখেছে।

এমন নিয়ম ফাইনালের ক্ষেত্রে নেই। আইসিসিই বলে দিয়েছে ফাইনালের ফল নির্ধারণ কীভাবে হবে। তার আগে দেখতে হবে প্লেয়িং কন্ডিশন কি বলছে– ফাইনালের নির্ধারিত দিনে বৃষ্টি হলে ম্যাচের ওভার কাটার আগে অপেক্ষা করা হবে ১৯০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ম্যাচে ফল আনতে গেলে কমপক্ষে দুই দলের খেলা হতে হবে ১০ ওভার করে। এই ১০ ওভার করে খেলাও যদি ফাইনালের দিন শেষ না হয়, তাহলে ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডেতে।

ফাইনালের ভেন্যু কেনসিংটন ওভালে সুপার এইটে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-আফগানিস্তান

রিজার্ভ ডেতে গিয়ে খেলা শেষ না হলে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকাকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ম্যাচ টাই হয়ে যদি সুপার ওভারে গড়ায় এবং আবহাওয়ার কারণে সুপার ওভার না হতে পারে, তাহলেও দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। এখানে আর টুর্নামেন্টের আগের অংশে কোন দল এগিয়ে বা পিছিয়ে ছিল, সেটা দেখা হবে না। অবশ্য সেদিকে তাকালে উল্টো দ্বন্দ্বে পড়তে হবে আয়োজকদের। কারণ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দু’দলই সুপার এইট পার করেছে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে।

এএইচএস