যে কোনো টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের সংক্ষিপ্ত তালিকায় বিরাট কোহলির নাম আপনাকে রাখতেই হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরেও সর্বোচ্চ রান এসেছে ভারতীয় এই তারকার ব্যাট থেকে। এমনকী সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলির ব্যাটেই নেই রান। 

চলমান আসরে ব্যাটে রানখরায় থাকা কোহলি এবার বিব্রতকর তালিকায় নাম লেখালেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে গড়ের তালিকায় উঠে এসেছে তার নাম। এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচের তিনজনই আবার বাংলাদেশের।

তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার ছাড়াও আছেন তামিম ইকবাল খান। তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে ন্যূনতম পাঁচ ইনিংস ওপেন করেছেন এমন ব্যাটারদের নিয়ে। 

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ ইনিংসে ব্যাট চালিয়ে মোটে ৭৫ রান করতে পেরেছেন কোহলি। এর মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ (৩৭) ও আফগানিস্তানের সঙ্গে (২৪)। এ ছাড়া বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শূন্য, আয়ারল্যান্ড (১), পাকিস্তান (৪) এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ রান করেছেন। বিশ্বকাপের এক আসরে ন্যূনতম পাঁচ ইনিংস উদ্বোধন করেছেন, এমন ব্যাটারদের মধ্যে কোহলির গড় তৃতীয় সর্বনিম্ন (১০.৭১)।

চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দিন কেটেছে টাইগার ব্যাটারদের। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশের সবকটি ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন। তবে তেমন পারফর্ম করতে পারেননি। ৭ ইনিংসে করেছেন ৭৬ রান, গড় ১০.৮৫! ওপেনারদের বাজে গড়ের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে আছেন প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া তরুণ এই ওপেনার। 

কোহলি ও তানজিদ তামিম বাদ দিলে ওপেনারদের শীর্ষ পাঁচ বাজে গড়ের বাকি তিনটিই আগের আসরগুলোর। ২০১৬ আসরে পাঁচ ম্যাচে ওপেনিং করে সৌম্য সরকার করেছিলেন মোটে ৪৮, গড় ৯.৬০। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্তত পাঁচ ইনিংস খেলা ওপেনারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বাজে গড়। 

২০২২ আসরে জিম্বাবুয়ের মাধেভেরে ৫ ইনিংসে ওপেন করে ৪৯ রান করে আছেন দ্বিতীয় নম্বরে। অবশ্য একই আসরে ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তনও হয়েছে তার। সৌম্যকে দিয়ে শুরু তালিকার ৫ নম্বরে আছেন তামিম ইকবাল। ২০০৭ সালে প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৫৬ রান করেছিলেন তখনকার ১৮ বছর বয়সী তামিম।

এফআই