টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগেই বিদায় নিশ্চিত করা বাংলাদেশ দল আজ (শুক্রবার) সকালে দেশে ফিরেছে। সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করার তিক্ত স্মৃতি নিয়ে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। দেশে পা রেখেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। টাইগার এই পেসার বোলিং ইউনিট নিয়ে কথা বলেছেন বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে। একইসঙ্গে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্বকাপ ভালো হয়নি বলেও জানিয়েছেন অকপটে।

তাসকিন বলছিলেন, ‘হ্যাঁ ঠিক যে, ইতিবাচক দিকও আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলাররা যথেষ্ট ভালো করেছে। (যার কল্যাণে) সুপার এইটেও উঠেছি। সর্বপ্রথম এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ দিক আছে। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’

ব্যাটিং ব্যর্থতার সাম্প্রতিক এই সময়ে বাংলাদেশকে স্বস্তির উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন বোলাররা। তাই স্বাভাবিকভাবেই বোলিং ইউনিট নিয়ে প্রশংসা করতে ভুললেন না তাসকিন, ‘বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে তারা। সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নেই।’

ব্যাটাররা রান না পাওয়ায় যে এবারের অভিযান কঠিন ছিল টাইগারদের, তবে সতীর্থদের কাঁধে হাত রেখেই কথা বললেন ডানহাতি এই পেসার, ‘আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি।’ তাসকিন আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাঁচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে (ব্যাটাররা)।’

বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় থাকা রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে গর্বিত পুরো বাংলাদেশ। তাসকিনও এর ব্যতিক্রম নন, ‘তানজিম সাকিব ও রিশাদ লিডিং উইকেট টেকারদের মধ্যে ছিল, টপ ফাইভে। সব মিলিয়ে ভালো করেছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকা উঠে আসছে। এর মধ্যে বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে সামর্থ্য আছে।’

এসএইচ/এএইচএস