এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দুজন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ দুজনই হয়েছেন সুপার ফ্লপ। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কেউই প্রত্যাশার সিকি ভাগও পূরণ করতে পারেননি। 

বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। আজ ২৮ জুন (শুক্রবার) সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা। অ্যান্টিগা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ও দুবাই হয়ে ঢাকায় এসেছেন তারা।

বিমান বন্দরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘এখন আসলে আমরা সবাই ব্যথিত, সমর্থকরাও। বিশেষ করে কয়েকটা ম্যাচ আমাদের জেতার কথা ছিল, পারিনি। শেষ ম্যাচটা আমরা ১২.১ ওভারে আমাদের সবারই পরিকল্পনা ছিল জেতার। আমরা সে ইনটেন্ট নিয়েই খেলা শুরু করেছি। একটা পর্যায়ে যখন দেখলাম যে হবে না ১২ ওভারে, তখন স্বাভাবিকভাবে জেতার চেষ্টা করা হয়, তারপর আমরা ওটাও চেষ্টা করে পারিনি।’

বিশ্বকাপ জুড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের ফর্মহীনতা দলকে কতটা ভুগিয়েছে দলকে? এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেন, ‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত এসব কাটিয়ে উঠব।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উন্নতির কথা জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা আগে থেকেই অনেক পিছিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে উন্নতি তো হচ্ছে। শুধু মাইনাস পয়েন্ট দেখলে তো হবে না। এমনিতেই মাইনাসেই আছি। প্লাসে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। করেই যাব। আপনারা হতাশ হচ্ছেন, স্বাভাবিক। আবার আমরা আপনাদের ভালো জয় উপহার দেব। বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর।’

এসএইচ/এইচজেএস