‘খেলতে না, জিততে এসেছি’
বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল যেন প্রোটিয়াদের কাছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের মতোই রহস্যে ঘেরা এক মরণ ফাঁদ! দুই ফরম্যাট মিলিয়ে সাতবার বিশ্বকাপের সেমি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। লাকি সেভেনেও রহস্য ভেদ করতে না পারা প্রোটিয়ারা অষ্টমবারের চেষ্টায় এবার ক্যারবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে রহস্যের জট খুলেছে।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।
বিজ্ঞাপন
প্রথমবার সেমি-ফাইনালে খেলা আফগানিস্তানকে ৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাবরাইজ শামসি। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, এখন তাদের চোখ কেবলই ট্রফিতে।
শামসি বলেন, 'এটি (ফাইনালে ওঠা) বিশাল অর্জন, কিন্তু আমরা যখন বিশ্বকাপের জন্য আসি, আমরা কেবল ফাইনালে উঠতে আসিনি; আমরা এখানে এসেছি অন্য সব দলের মতো ফাইনাল জিততে।'
আগের যেকোনো প্রোটিয়া দলের চেয়ে ভিন্ন এবারের এই দল বলে মনে করেন শামসি। তিনি বলেন, 'সবাই খুব শান্ত আছে। এই দলে কোনো একজনকে দলকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় না। যদি অন্য দল বা অতীতের প্রোটিয়া দলগুলোকে দেখেন, সেখানে একজন ব্যাটার ছিল, যার ওপর নির্ভর করা হতো, একজন নির্দিষ্ট বোলার ছিল, যার ওপর নির্ভর করা হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারব না, কোন বোলার বা কোন ব্যাটার আমাদের জিতিয়েছে।'
'আমি নিশ্চিত, আসরজুড়ে আপনারা এটি দেখেছেন। বেশিরভাগ দলে সাধারণত একজন বা দুইজন মূল ব্যাটারকে আউট করার পর তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমাদের দলে সেই ব্যাটার কে? কেউ নয়। আমাদের জেতানোর জন্য প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। কারো ভালো দিন যাবে, কারো হয়তো বাজে দিন কাটবে, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে, যারা নিজেরা ম্যাচ জেতাতে সক্ষম। কেউ যদি শূন্য রানে আউট হয় বা একজন বোলার ৪০-৫০ রান দিয়ে ফেলে, তাহলেই সবকিছুর শেষ নয়। অন্য বোলার বা ব্যাটাররা সেটা পুষিয়ে দেবে।'-যোগ করেন তিনি।
এইচজেএস