টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাদের প্রথম ফাইনালিস্ট দল পেয়ে গেছে। আফগানিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার দ্বিতীয় ফাইনালিস্টের অপেক্ষা, যার জন্য দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড। যদিও বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচটি ঠিকঠাক অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে খেলা মাঠে গড়ালে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে গায়ানার পিচ ও মেঘলা আকাশের নিচে বয়ে যাওয়া বাতাস।

এর আগে ২০২২ আসরে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত। ইংলিশরা সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। আবারও দু’দল সেমির লড়াইয়ে মুখোমুখি, হয়তো আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কিংবা প্রতিশোধ সম্পন্ন করবেন রোহিত শর্মারা। তার আগে দু’দলের পরিসংখ্যান এককভাবে কারও পক্ষে কথা বলছে না। অর্থাৎ অতীতে হওয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও একই সংস্করণের বিশ্বকাপে উভয় দল সমান তালে লড়েছে।

ভারতের সঙ্গে ম্যাচটি বেশ রোমাঞ্চকর হতে পারে বলে আশা ইংল্যান্ড কোচ ম্যাথু মটের, ‘উভয় দলই একই অবস্থানে পৌঁছেছে এবং ৪০ ওভারের লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত। এটি দারুণ রোমাঞ্চকর লড়াই হতে চলেছে। আমার মতে এটি এমন এক ম্যাচ হবে সবাই দেখতে চায় এবং এজন্য আমরাও বেশ রোমাঞ্চিত।’ অন্যদিকে, বেশ চাপে থাকার কথাই জানালেন ভারত অধিনায়ক রোহিত, ‘কোনো সিরিজ কিংবা আইসিসি টুর্নামেন্টই হোক না কেন, ভারতীয় দল সবসময় চাপের মধ্যে থাকে। যদিও আমরা এসবে ব্যস্ত, তাই ড্রেসিংরুমে সবার শান্ত থাকা জরুরি।’

এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২৩ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড। যেখানে ১২টিতে ভারত আর ইংলিশদের জয় ১১ ম্যাচে। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দু’দল ৪ বার মুখোমুখি লড়েছে, যেখানে উভয় দলই জিতেছে সমান দুটি করে ম্যাচ।

কেমন থাকবে পিচ

বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। যেখানকার পিচ কিছুটা রহস্যময়, এখানে যেমন বিশ্বকাপের লো স্কোরিং ম্যাচ (উগান্ডা ৩৯ রানে অলআউট) হয়েছে, তেমনি বড় রানও দেখা গেছে। তবে সবমিলিয়ে এখানকার স্পিন ট্র্যাকে গড়ে ৬.২০ রানরেট উঠেছে। সবমিলিয়ে গায়ানায় ঘূর্ণির ঝলক দেখাতে পারেন ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেলরা। তবে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ও মঈন আলিরাও খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম

গত পাঁচ বছরে গায়ানায় যত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমে টস জেতা দল ৫৪ শতাংশ ক্ষেত্রে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত শেষবার এই মাঠে ২০২৩ সালের আগস্টে খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ভারত ১৩ বল বাকি থাকতে ১৬০ রান তাড়া করেছিল। এদিকে চলতি বিশ্বকাপে গায়ানায় পাওয়ার প্লেতে গড় রানরেট ছিল ৬.৪, মাঝের ওভারগুলোতে ৫.৫ এবং শেষদিকে গড় রানরেট কিছুটা বেড়ে ৭.৬ হয়।

এএইচএস