আফগানিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসে এরচেয়ে বড় ম্যাচ আগে ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। কাবুলি আর টুপি পরে যাত্রা শুরু করেছিল আফগানিস্তানের ক্রিকেট। এরপর মাত্র দেড়যুগের ব্যবধানে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানরা। ১৮ বছরের মধ্যে স্বীকৃত ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির সেরা চার দলের একটি আফগানিস্তান। 

রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খানরা যেন এমন এক দিনেরই স্বপ্ন দেখেছিলেন। ২০০৬ সালে শরণার্থী শিবিরে তাজ মালিকের অধীনে শুরু হয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেটের যাত্রা। নওরোজ মঙ্গল, শাপুর জাদরান, আসগর আফগানদের হাত ধরে আফগানিস্তান ক্রিকেট যাত্রা শুরু করে। দেড়যুগের ব্যবধানে তারা খেলতে নামলো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। 

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইনআপ আফগানিস্তানকে দেখিয়ে দিলো ক্রিকেটের বিপরীত এক দিক। মার্কো জানসেন, তাবরাইজ শামসি আর কাগিসো রাবাদার বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানদের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হলো আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এত কম রানে আউট হওয়ার নজির নেই। 

এমন ভরাডুবির পর কোচ জোনাথন ট্রটের চিন্তায় দলের মিডল অর্ডার।  পুরো আসরেই গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটিই মান বাঁচিয়েছিল আফগানদের। ফাইনালে গুরবাজ ফিরলেন শূন্য রানে আর জাদরানের ব্যাট থেকে এলো মোটে ২ রান। 

আর তাতেই বেরিয়ে এলো আফগান ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা। প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রট জানালেন মিডল অর্ডারের ব্যাটার খুঁজতে চান তিনি, ‘সম্ভবত আমরা গুরবাজ আর ইব্রাহিমের রানের ওপর একটু বেশিই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম। আর কেউই রান করতে পারেনি। আমাদের এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের আরও কিছু ব্যাটার দরকার যারা রান করবে এবং ওপেনারদের মতোই ধারাবাহিক হবে। যেটা ম্যাচেও আমাদের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। তাই সামনের দিনে এটাই আমাদের প্রজেক্ট।’ 

এমন ম্যাচের পর অবশ্য কিছুটা দায় দিলেন পিচের দিকেও, ‘প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আফগান কোচ জোনাথন ট্রটের বক্তব্য, ‘কিছু বলে নিজেকে সমস্যায় ফেলতে চাই না আমি। তবে এটা এমন পিচ ছিল না যেটাতে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচ আপনি চাইবেন। এটাই সবচেয়ে সহজ কথা। এটা ফেয়ার প্রতিযোগিতা থাকা উচিত বল-ব্যাটের।’ 

তবে বিশ্বকাপের এমন এক ম্যাচে আগে বোলিং না করার আক্ষেপ নেই জোনাথন ট্রটের। বরং এবারের আসরের ক্রিকেটীয় চেতনা ধরে রেখেই সামনে এগুনোর লক্ষ্য তার। 

জেএ