সকালের ঘুম থেকে বাংলাদেশের যেসব দর্শক খেলা দেখতে বসেছেন, তারা হয়ত কিছুটা অবাকই হবেন, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো বড় এক ম্যাচে এমন কিছু হতে পারে তা ছিল রীতিমত অকল্পনীয়। এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আফগানিস্তানকে যেন টেনে মাটিতে নামিয়ে আনল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ উইকেটের সহজ এক জয় প্রোটিয়াদের নিয়ে গেল নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে। 

মার্কো জানসেন, তাবরাইজ শামসির ৩ উইকেট আর কাগিসো রাবাদার ২ উইকেট শিকারের দিনে  আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ৫৬ রানে। ক্ষুদ্র এই সংগ্রহে আফগানদের সঙ্গী হয়েছে একাধিক লজ্জার রেকর্ড। তবে এর বাইরেও একাধিক রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়াম। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা জয়ের হিসেবে রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। এর আগে অস্ট্রেলিয়া করেছিল টানা ৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। তবে অজিদের রেকর্ড ছিল ২০২১ এবং ২০২২ আসর মিলিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা গড়লো সেটা এক আসরেই। একইসঙ্গে প্রোটিয়াদের ক্রিকেট ইতিহাসেও টানা জয়ের হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ। 

৫৭ রানের লক্ষ্যে যেতে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে কেবল ১ উইকেট। ৯ উইকেয়ের এই জয় উইকেটের হিসেবে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ২য় সর্বোচ্চ জয়। ১০ উইকেটের জয় তারা পেয়েছিল ২০১২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

৬৭

৬৭ বল বাকি থাকতেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এত বল বাকি রেখে আর জেতা হয়নি প্রোটিয়াদের। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫১ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছিল তারা। সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। আফগানিস্তানও কখনোই এত বেশি বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারেনি। 

১৩ 

এবারের বিশ্বকাপে আনরিখ নরকিয়ার উইকেট সংখ্যা। একও বিশ্বকাপে প্রোটিয়া কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের ঘটনা এটিই। ২০১৪ আসরে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন ইমরান তাহির। এছাড়া কাগিসো রাবাদাও এবারের আসরে পেয়েছেন ১২ উইকেট। 

৫৬ 

সেমিফাইনালে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড আজ গড়েছে আফগানিস্তান। ৫৬ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের সাপেক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের কীর্তি তাদের নামের পাশে যুক্ত হলো। সর্বনিম্ন ৫৫ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া আফগানিস্তানের ক্রিকেটে ইতিহাসে টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। 

১৭ 

এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকি। ১৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন ২০২১ আসরে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১৬ উইকেট শিকারের কীর্তিকে। 

জেএ