নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচটাই হয়ত আজ খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান। নিজেদের ইতিহাসে এদিনই প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরের সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিল তারা। গেল ১ সপ্তাহে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সুসময় পার করেছিল আফগানরা। অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলকে হারিয়েছে, বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালের বড় মঞ্চে। 

কিন্তু সেরা চারের লড়াইয়ে এসে ক্রিকেটের অন্য এক নির্মমতা টের পেয়েছে আফগানিস্তান। মার্কো জানসেন, তাবরাইজ শামসি আর কাগিসো রাবাদাদের বোলিং তোপে যেন পুড়ে গিয়েছিল ব্যাটিং ইউনিট। পুরো দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। সেখান থেকে আসে ১৩ রান। আর ব্যাটারদের মধ্যে আজমত ওমরজাই করেছেন ১০ রান। পুরো দলে তিনিই একমাত্র দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন।

৫৬ রানে অলআউট হওয়ার দিনে বেশ কিছু লজ্জার রেকর্ডও করেছে তারা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তো বটেই ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাট মিলিয়ে সেমিফাইনালে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড এটি।  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিরিখেও বেশকিছু লজ্জার রেকর্ড যুক্ত হয়েছে তাদের নামের পাশে। ৫৬ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের সাপেক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের কীর্তি তাদের নামের পাশে যুক্ত হলো। সর্বনিম্ন ৫৫ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া আফগানিস্তানের ক্রিকেটে ইতিহাসে টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ রান। 

দক্ষিণ আফ্রিকাও এদিক নিজেদের নামের পাশে রেকর্ডের ঝুলি সমৃদ্ধ করেছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের নজির এটিই। পূর্বের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল শ্রীলঙ্কার। চলতি বিশ্বকাপেই গ্রুপপর্বের ম্যাচে লঙ্কানরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিল মোটে ৭৭ রান। ক্রিকেটে ৫ ওভারে ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি এর আগে ছিল কেবল দক্ষিণ আফ্রিকারই। আজ আরও একবার সেই কীর্তি গড়ল তারা। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ৫ ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছিল তারা। ২০২৪ সালে এসেও সেই আফগানদের বিপক্ষেই গড়ল এই কীর্তি। 

পাওয়ারপ্লেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট হারানোর রেকর্ডেও নতুন করে যুক্ত হলো আফগানিস্তানের নাম। ৬ ওভারের মাঝেই আজ তারা হারিয়েছিল ৫ উইকেট। চলতি বিশ্বকাপে এমন বিপর্যয় দেখেছিল উগান্ডা (২ বার), আয়ারল্যান্ড এবং পাপুয়া নিউগিনি। 

জেএ