টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ আসলেও, সেটি কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ক্রিকেটারদের মানসিকতায় সেমির সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জেতা নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল সুপার এইটের তিন ম্যাচেই হেরেছে। সর্বশেষ গতকাল আফগানিস্তানের কাছে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়। যা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বাংলাদেশ দলের হার ও বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে আজ (বুধবার) গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিসিবি প্রধানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। যেখানে তিনি পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যায় ৩০ লাগবে বলে জানান। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন, যদিও ওই ব্রিফিংয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় এখনও জানানো হয়নি।

অনেকটা তাড়াহুড়োর মুখে পাপন বলেন, ‘এটা শুধু কালকের ম্যাচ না, পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ে (বলব) যা এক কথায় উত্তর দেওয়া সম্ভব না। এখানে পুরা জিনিসটাই…পারফরম্যান্স বলতে গেলে এর ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক কথা-ই বলতে হবে। এটা না হলে আপনারাও বুঝবেন না, কেউ বুঝবে না। আপনারা আসেন মিনিমাম আধাঘণ্টা লাগবে আমার ব্যাখা করতে।’

গতকাল সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। যেখানে আগে ব্যাট করে রশিদ খানদের দল ১১৫ রান সংগ্রহ করে। সেই রান টপকালেই শুধু চলত না, সেমিতে খেলতে হলে ১২.১ ওভারে লক্ষ্য ছুঁতে হতো বাংলাদেশের। কিন্তু সেই সমীকরণ মেলানো তো দূরের কথা, জয়-ও পাওয়া হয়নি শান্ত-সাকিবদের। তারা মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে বিদায় নিশ্চিত করে।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে আমরা প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা ছিল যদি আমরা ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট যদি না পড়ে, তাহলে আমরা সুযোগটা নেব। কিন্তু যখন আমাদের দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে গেল, তখন আমাদের পরিকল্পনা পাল্টে যায়—যেন আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। তারপরও আমি বলব, মিডল অর্ডার ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যার কারণে ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি।’

এসএইচ/এএইচএস