চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি। অর্থাৎ যারা চ্যাম্পিয়ন হবে, তারা কেবল বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রফি থেকে দুই ম্যাচ দূরে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ থাকলেও, কোনো কারণে খেলা পুরোপুরি সম্পন্ন না হলে দুই ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের জন্য সেই সুবিধা রাখা হয়নি। তার ওপর বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ওই ম্যাচ চলাকালে।

বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)। ভারত-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। ওই সময় রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মিলে গেলে ফাইনালে ওঠার আগের এই লড়াই থেকে বঞ্চিত হতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। রিজার্ভ ডে না থাকায় ফাইনালে কারা উঠবে আইসিসি সেটিও নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুসারে কপাল পুড়তে পারে ইংলিশদের, সরাসরি ফাইনাল খেলতে পারে রোহিত শর্মার ভারত।

ম্যাচ চলাকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটুকু?

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘অ্যাকু ওয়েদার’ বলছে, ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এবং তার আগে বৃষ্টির বেশ সম্ভাবনা রয়েছে গায়ানায়। যেখানে পুরো ম্যাচটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৪টা) পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩৫ থেকে ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া ম্যাচ চলাকালে পুরো সময়েই সেখানকার আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।

যে কারণে রিজার্ভ ডে নেই

এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য একদিন করে রিজার্ভ ডে বরাদ্দ আছে। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য অতিরিক্ত সময় রাখা হয়েছে ২৫০ মিনিট। দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও যদি রিজার্ভ ডে রাখা হতো, তাহলে সেটি গড়াবে ২৮ জুন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। রিজার্ভ ডে-তে গড়ালে এই ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের ২৯ তারিখ ব্রিজটাউনে পৌঁছেই ফাইনালে মাঠে নেমে পড়তে হবে। কিন্তু আইসিসি চাচ্ছে ২৮ জুন ট্রাভেল ডে হিসেবে চিহ্নিত হোক এবং ২৯ জুন ফাইনাল আয়োজিত হোক।

বৃষ্টির কারণে সুপার এইটে দুই ম্যাচের ফল এসেছে ডিএলএস নিয়মে, বাগড়া দিয়েছিল গ্রুপপর্বেও

এ ছাড়া যদি ভারত সেমিফাইনালে যায় তাহলে সুপার এইটের ফলাফল যাই হোক না কেন পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ম্যাচটি হবে রাত ৮টায়। দেশটির অতিরিক্ত দর্শকের কাছ থেকে পাওয়া ভিউয়ারশিপের কথা মাথায় রেখে ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে। আবার বৃষ্টির জন্য বাড়তি সময়ের মধ্যেও যদি দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করা না যায়, তাহলে সুপার এইটে যে দল পয়েন্ট তালিকায় ওপরে থাকবে, তারা ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ন্যূনতম কত ওভার খেলতে হবে

বৃষ্টির কারণে খেলায় বিঘ্ন সৃষ্টি হলে ফলাফলের জন্য প্রতিটি দলকে ন্যূনতম অন্তত ৫ ওভার করে খেলতে হয়। যা বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট রাউন্ডে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য সেটি হবে ১০ ওভারে। অর্থাৎ বৃষ্টি বাগড়া দিলেও টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত ম্যাচ তিনটিতে ন্যূনতম ১০ ওভারের খেলা সম্পন্ন হতে হবে। নির্দিষ্ট ওভারের খেলা সম্পন্ন হলে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হবে ডিএলএস পদ্ধতিতে।

ম্যাচ বাতিল হলে কী হবে

যদি সমস্ত প্রচেষ্টার পরেও ম্যাচটি না হয় এবং শেষ পর্যন্ত আম্পায়াররা ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল সুবিধা পাবে। ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে রোহিতের দল। কারণ ম্যাচ না হলে আগের রাউন্ডের পয়েন্ট হিসাব করা হবে। ভারত সুপার এইট খেলেছে এক নম্বর গ্রুপ থেকে। যেখানে তিনটি ম্যাচ জিতেই শীর্ষে ছিলেন রোহিত-কোহলিরা, আর ইংল্যান্ড সুপার এইটে দুই নম্বর গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে সেমিতে ওঠে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনাল বাতিল হলে সুপার এইটের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি ফাইনালে ওঠে যাবে।

এএইচএস