ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটে সম্পর্ক কখনোই মধুর ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের মাঝে হাসিমুখে বাক্যবিনিময় দেখা গেলেও পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল দেড় থেকে দুই দশক আগে। ভারত আর পাকিস্তান মানেই ছিল বিতর্ক আর চাপা উত্তেজনা। এখনো মাঠের বাইরের পরিবেশ দুই দলের মাঝে সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত। 

এবার সেই উত্তেজনায় আগুন ঢাললেন ইনজামাম উল হক। ভারতীয় বোলারের বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ এনেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। পেসার আর্শদ্বীপ সিংয়ের রিভার্স সুইং করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নতুন বলে ইনিংসের ১৫তম ওভারেই রিভার্স সুইং কীভাবে করছেন আর্শদ্বীপ– সেটাই প্রশ্ন ইনজির। 

স্থানীয় এক টক-শোতে আলাপকালে তিনি বলেন, আম্পায়ারদের উচিত এমন ঘটনার দিকে চোখ রাখা, ‘আর্শদ্বীপ যখন ১৫তম ওভারে বল করছিল, তখনই বল রিভার্স করছিল। নতুন বলে এটা কি রিভার্স সুইংয়ের সাপেক্ষে খুব দ্রুতই হয়ে যায় না? যার অর্থ, নতুন বলটা ১২ কিংবা ১৩ ওভারের মধ্যেই রিভার্স সুইং করার উপযোগী হয়ে যায়। আম্পায়ারের এদিকে খেয়াল রাখা দরকার।’ 

ইনজামামের সাবেক সতীর্থ এবং ২০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়া সেলিম মালিকও একই দাবির পক্ষে সুর তুলেছেন। টকশোতে ইনজামামকে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘দেখো ইনজি, আমি এটা সবসময় বলি, কিছু দলের ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে রাখা হয়। আর ভারত সেসব দলের মধ্যে একটি।’ 

ইনজামাম উল হক এরপরেই অভিযোগ করেন, এমন ঘটনা পাকিস্তানি বোলারদের সঙ্গে ঘটলে এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি হতো। রিভার্স সুইং নিয়ে আমরা খুব ভালোভাবেই জানি। আর যদি আর্শদ্বীপ ১৫ ওভারে রিভার্স সুইং করতে শুরু করে, তারমানে এর আগে ভয়াবহ কিছু করা হয়েছে।’ 

তবে ইনজামাম একই অভিযোগ আরেক ভারতীয় পেসার জাসপ্রীত বুমরাহর বেলায় করতে নারাজ, ‘দেখুন বুমরাহ এটা করতেই পারেন, কারণ তার বোলিং অ্যাকশন। কিন্তু কিছু বোলারের জন্য– তাদের বোলিং অ্যাকশন আর গতি বিবেচনা করলে, বলটাকে ওমন যথাযথ কন্ডিশনে থাকতে হবে বা বলকে তৈরি করে নিতে হবে।’ 

চলতি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে বোলিং আক্রমণের সূচনা করেছেন আর্শদ্বীপ। ইনিংসের শেষদিকে প্রতিপক্ষের লাগাম টেনে ধরার কাজটাও করছেন সফলভাবে। বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আছেন শীর্ষ উইকেট শিকারী তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। 

জেএ