আফগানিস্তানের কাছে হেরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল বাংলাদেশ। সুপার এইটে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছিল। এরপর কোনো ম্যাচ জিতলে সেটিকে বোনাস বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রধান এই কোচ। ফলে বাংলাদেশের খেলার ধরনেও যেন সেটাই ফুটে উঠেছে! সেমিফাইনালে ওঠার চেষ্টাটাও ক্রিকেটাররা করেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সেই দলে যোগ দিলেন ক্ষুব্ধ তামিম ইকবালও।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক আলোচনায় তামিম বলেছেন, ‘আসলে কাজটা (ম্যাচ জেতা) কঠিন, আমি কারও দিকে আঙুল তুলব না। দল হিসেবে বাংলাদেশ শুরুতে ভালো করেছিল। সুপার এইটে অত ভালো না করলেও আজ সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। যদি তারা হেরেও যেত ৩০-৪০ রানে, যদি রান তাড়ার চেষ্টাটাও করত তাহলে সমর্থকরা বুঝতো যে সুযোগ ছিল আমরা চেষ্টা করেছি, পারিনি, সমস্যা নেই।’

সেমিতে উঠতে হলে আফগানদের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ১২.১ ওভারে পেরোতে হতো। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল সেমিতে ওঠার চেষ্টা করেনি বলে অভিমত সাবেক এই অধিনায়কের, ‘আমি কিছুটা অবাক হয়েছি যে, এক পর্যায়ে মনে হয়েছে যে তারা রানটা তাড়া করতে না চেয়ে (নির্দিষ্ট ওভারে) ভেবেছে শুধু জেতার চেষ্টা করে দেখি। যা আমার পছন্দ হয়নি। আমি মনে করি, চেষ্টাটা করে দেখো না। হারলে তো হেরে গেলোই, কিন্তু জিততে পারলে এমন কিছু অর্জন করা যাবে যা ইতিহাসে আগে হয়নি।’

তামিম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার ধারণা নিয়ে ব্যাট করতে নামে। লিটন (দাস) ভালো করেছে। সে সাধারণত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো করে, কারণ সে রশিদকে (খান) ভালোভাবে পড়তে পারে। অতীতেও তার ভালো রেকর্ড আছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ অনেক হতাশ হয়েছে। বাংলাদেশের উচিৎ ছিল রান তাড়া করার চেষ্টা করা (সেমিতে যেতে)। যদি তারা ৭০-৮০ রানেও অলআউট হতো, তাহলেও ম্যাচ হারতোই।’

এমন সুযোগ বারবার আসে না বলেও সতীর্থদের স্মরণ করিয়ে দিলেন তামিম, ‘তাদের সুযোগ ছিল বিশেষ কিছু করার। এসব সুযোগ বারবার আসে না। যখন আপনি সুপার এইটে কোনো ম্যাচ জেতেননি এবং পরে সুযোগ পেয়েছেন শেষ ম্যাচে জিতে সেমিফাইনাল খেলতে। এখানে হয়তো সম্ভাব্য সবকিছুই করার চেষ্টা করবেন আপনি। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ তাড়া করে ফেলবে। মাঝে কিছু ওভারে ব্যাটিংয়ে কম ইন্টেন্ট কাজটা কঠিন করে দেয়।’

এসএইচ/এএইচএস