টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশ দলের সামনে। সমীকরণের মারপ্যাঁচে আফগানিস্তানকে হারাতে পারলেই ইতিহাস সৃষ্টি করতো টাইগাররা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয়নি। বৃষ্টি আইনে সাকিব আল হাসানরা হেরেছেন ৮ রানে। ম্যাচে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার মানসিকতা ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সংবাদ সম্মেলনে ভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন।

সাবেক অধিনায়ক এবং এইচপি দলের ব্যাটিং কোচ রাজিন সালেহ’র মতে– ৬ ওভার পরেও চেষ্টা করেছে টাইগাররা। একপাশ আগলে রেখে খেলেছেন লিটন দাস, অন্যপাশ থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। ঢাকা পোস্টকে ম্যাচটি নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে রাজিন বলেন, ‘আমার কিন্তু মনে হয়েছে ৬ ওভার পরেও তারা চেষ্টা করেছে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটে এসে যেভাবে তাড়াহুড়ো করল, আমার কাছে মনে হয়েছে সে সেমির কথা মাথায় রেখেই খেলেছে।’

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভালো খেলতে পারলে ম্যাচ সহজ হতো বলে ধারণা রাজিনের। এজন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আমি মানতে রাজি, তবে বাকি যারা খেলছে তারাও ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। এত তাড়াতাড়ি এত উইকেট হারালো, বল টু বল খেলা উচিৎ ছিল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যদি খেলতে পারতো ম্যাচটা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যেত। কারণ তার প্রতি আমরা অনেক ভরসা করি।’

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ

জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটারদের সময় বুঝে নিজ থেকেই সরেই যাওয়া সম্মানের বলেও মন্তব্য করেছেন রাজিন সালেহ, ‘আন্তর্জাতিক খেলা ভিন্ন, তবে খেলা যেহেতু নিজের ইচ্ছায় শুরু করে খেলোয়াড়রা, সেহেতু তার ইচ্ছায় সে ছাড়ুক। কিছু কিছু বিষয় আছে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। তাহলে সবসময় সে সম্মানের পাত্র থাকবে।’

সাকিব আল হাসানের নাজুক পারফরম্যান্সও চোখে লেগেছে সবার, তবে এখনও সাবেক এই অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখছেন রাজিন। তিনি বলেন, ‘(বাজে ফর্ম) অবশ্যই চোখে লেগেছে, সাকিবের কাছে আশা করি সে অনেক ভালো খেলবে। সাকিবের কাছ থেকে পারফরম্যান্স আশা করি। সে এক যুগ ধরে পারফর্ম করে চলেছে, যেখানে এক সিরিজ (মাঝেমধ্যে) খারাপ যেতে পারে। তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য না। ওর যখন মনে হবে ছাড়া উচিৎ, তখনই ছাড়বে। সে নিজেও জানে কখন কী করতে হবে।’

এসএইচ/এএইচএস