গুলবাদিনের চোটের ‘অভিনয়’ নিয়ে যা বললেন তামিম
আফগানিস্তানের কাছে হারের মধ্য দিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়ে গেল বাংলাদেশের। ১৭ বছর পর সুপার এইটে ওঠে তারা তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল যখন হতাশার আগুনে পুড়ছে, তখন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দে ভাসছে আফগানরা। তবে দলটির তারকা অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবের চোটের ‘নাটক’ নিয়ে চলছে সমালোচনা। যদিও বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় তামিম বলেন, ‘মানুষের হয়তো ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। আমার মনে হয়, অনেকেই এমনটা করতো। আবার অনেকে এমনটা করতো না। তাই এটা ব্যক্তিগত বিষয়, আমি সেটাকে ভালো বা খারাপ কোনোভাবেই দেখি না। আবেগের জায়গা থেকে ব্যাপারটি বুঝতে পারছি। যেভাবে তা সাজানো হয়েছে, এটা নিয়ে তর্ক হতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট করাটা এবারই প্রথম দেখিনি আমরা এবং এটা শেষবারও নয়। আগেও এমনটা অনেকবার হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের শেষদিকে ঘটে বিতর্কিত ওই ঘটনা! ব্যাটিংয়ে থাকা বাংলাদেশ তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ রানে পিছিয়ে। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখায় ডাগআউট থেকে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট সময় নিতে সংকেত দিচ্ছিলেন। সংকেত দেখার পরপরই স্লিপে থাকা গুলবাদিন নাইব মাঠে শুয়ে গেলেন, যেন কিছুটা সময় নিতে চাইলেন এই পেস অলরাউন্ডার। সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়া এই পেসার পরে মাঠে নেমে স্বাভাবিকভাবে বল করেছেন, পেয়েছেন উইকেটও। জয়ের উদযাপনে দৌড়েছেন স্প্রিন্ট অ্যাথলেটদের মতো, লাফিয়ে উঠেছেন সতীর্থদের কাঁধে।
— Sports Production (@SportsProd37) June 25, 2024
বিষয়টি কৌতুকের স্বরেই বর্ণনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ, ‘গত ছয় মাস ধরে আমার হাঁটুর অবস্থা খারাপ। ম্যাচশেষে আমি গুলবাদিন নাইবের চিকিৎসককে দেখাতে যাব। এই মুহূর্তে তিনি বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ এ ছাড়া ম্যাচ চলাকালেই কিউই ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল বলে ওঠেন, ‘কোচ কী ইঙ্গিত দিয়েছে সেটা সবাই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করাটা ঠিক নয়, অগ্রহণযোগ্য।’ আরেক ম্যাচ বিশ্লেষক পমি মবঙ্গোয়া মন্তব্য করেন আরও খোলামেলা-ভাবেই, ‘অস্কার নাকি এমি?’
আরও পড়ুন
গুলবাদিনের বিষয়টি নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে জানি না তার কী হয়েছিল এবং সামাজিক মাধ্যমে কী চলছে সেটিও জানা নেই। এটা মাঠের ইনজুরি এবং তাতে কোনো ওভারও কাটা যায়নি। বৃষ্টি থামার পর আবার খেলা হয়েছে এবং আমি মনে করি না গুলবাদিনের চোটের ঘটনা ম্যাচে বড় কোনো প্রভাব ফেলেছে। কারণ পাঁচ মিনিট পরই আমরা মাঠে নামি। মনে হয় এটি সাধারণ একটি চোটের ঘটনা এবং তার জন্য আপনি সময় নিতেই পারেন।’
এসএইচ/এএইচএস