দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আরও একবার হতাশ করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে আসা এই তারকাকে বাংলাদেশ দলে রাখা হয়েছিল অনেক বড় প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক হতাশাই উপহার দিয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দরকার ১২.১ বলে। ১১৬ রানের টার্গেট এই সময়ের মাঝে পার করতে পারলেই টাইগাররা চলে যাবে সেমিফাইনালের বড় মঞ্চে। কিন্তু এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসেও ডাক মেরে সাজঘরে ফিরলেন তানজিদ হাসান তামিম। সবশেষ চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় ডাক। 

আর এই ডাকের কারণে বিশ্বকাপে লজ্জার এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ডাক বা শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জা এখন বাংলাদেশি এই ওপেনারের নামের পাশে। তবে জুনিয়র তামিম স্বস্তি পেতে পারেন এই লজ্জায় তিনি একা নন ভেবে। এবারই উগান্ডার রজার মুকাসা শূন্যতে আউট হন তিনবার। 

১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এমনকি পরবর্তীতে নষ্ট করেছেন একটি রিভিউ। 

তানজিদ তামিমের এমন উইকেটের পর বাংলাদেশ হারিয়েছে আরও দুই উইকেট। তাতে বেশ কিছুটা চাপেও পড়েছে টাইগাররা। বৃষ্টিতে খেলা থামার আগে ৩১ রানে হারিয়েছে ৩ উইকেট। বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলেও তাতে ওভার কাটা হয়নি। 

জেএ