টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণটি ২০০৭ সালে হয়েছিল। ২০২৪ সালে এসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপের নবম সংস্করণ। পরপর আটটি সংস্করণে একটি প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, যা এবারও অব্যাহত রইল। আজ পর্যন্ত কোনো স্বাগতিক দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেনি। 

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই আয়োজক আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই দলই এরই মধ্যে সেমিফাইনালের রেস থেকে ছিটকে গেছে। একটা মজার তথ্য হচ্ছে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম নয়টি সংস্করণে কোনো হোম দল শিরোপা জিততে পারেনি এবং তারপরে ভারত দশম সংস্করণ তথা ২০১১ সালে এই রেকর্ড ভেঙে দেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিন মৌসুমে (২০১১, ২০১৫, ২০১৯) বিশ্বকাপের শিরোপা দখল করে স্বাগতিক দল। 

উল্লেখ্য, ২০১১ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস।

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণ ২০০৭ সালে খেলা হয়েছিল। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এরপর, ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড এবং শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা হয়েছিল এবং শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।

২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা এবং শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ এবং শিরোপা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ভারত এবং শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ভারত, কিন্তু ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে খেলা হয়েছিল। সেবার টুর্নামেন্ট জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হলেও শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।

২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ দশ বছর পরে আবার শেষ চারের লড়াইয়ে উঠেছে প্রোটিয়া শিবির। সেবারে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল তারা। প্রোটিয়ারা এবারের বিশ্বকাপ জিততে চাইবে। কারণ এখনও পর্যন্ত তারা কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।

এফআই